বড় বড় কোম্পানির খাঁটি ঘিয়ের নামে তৈরি হত নকল ঘি। পাম অয়েল, পারফিউম ও ইউরিয়ার মতো বিপজ্জনক উপাদান দিয়ে এই ঘি প্রস্তুত করে পাঠানো হত বাজারে। অবশেষে সবটা ফাঁস করল পুলিশ।
উত্তরপ্রদেশের আগ্রায় নকল ঘি তৈরির একটি কারখানার সন্ধান পেয়েছে পুলিশ। সেই কারখানার ম্যানেজারসহ ৫ জনকে আটক করা হয়েছে। এখানে, উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, রাজস্থান, হরিয়ানা এবং জম্মু ও কাশ্মীরের আমুল এবং পতঞ্জলি সহ ১৮ বড় কোম্পানির নামে নকল ঘি তৈরি এবং বিক্রি করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
সূত্রের খবর, কারখানা থেকে প্রায় আড়াই হাজার কেজি নকল ঘি ও এর কাঁচামাল বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। খাদ্য অধিদফতর বাজেয়াপ্ত করা পণ্যের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছে। ডিসিপি সিটি সুরজ কুমার রাই জানান, মারুতি সিটি রোডের মারুতি প্রভাসম কলোনিতে রাজেশ আগরওয়াল নামে এক ব্যক্তির প্লটে টিনের চালা বসিয়ে কারখানাটি চালানো হচ্ছিল। প্লটটি ভাড়ায় নেওয়া হয়েছে।
জিজ্ঞাসাবাদে জানা গিয়েছে, গোয়ালিয়রের বাসিন্দা ব্রিজেশ আগরওয়াল, পঙ্কজ আগরওয়াল, নীরজ আগরওয়ালের পিওর ইট নামে দেশি ঘি রয়েছে। প্রায় ছয় মাস আগে তিনি কারখানাটি চালু করেন। কলোনির রাজেশ ভরদ্বাজকে ম্যানেজার করা হয়। বাজার থেকে যে ব্র্যান্ডের চাহিদা ছিল সেই ব্র্যান্ডের স্টিকার দিয়ে টিন ও বাক্সে প্যাক করা হত।
আরও পড়ুন: (Lifestyle Tips: মাংসের স্বাদ নিখুঁত হচ্ছে না? রান্না করার সময় খেয়াল রাখুন এই ৪টি জিনিস)
কোটি টাকার উদ্ধার
ডিসিপি জানান, কারখানা থেকে বিপুল পরিমাণ ঘি, কাঁচামাল, অনেক কোম্পানির স্টিকার, ব্যবহৃত মেশিন, প্যাকিং মেশিন ইত্যাদি উদ্ধার করা হয়েছে। সবমিলিয়ে উদ্ধার করা পণ্যের মূল্য কোটি টাকা বলে জানা গিয়েছে। পুলিশ নিজ পক্ষ থেকে কারখানার অপারেটর ও কর্মচারীদের বিরুদ্ধে মামলা করছে।
এভাবেই তৈরি হত নকল ঘি
আগ্রায় ঘি তৈরি করতে পাম অয়েল, ভেজিটেবল ঘি, এসেন্স ও ইউরিয়া একসঙ্গে ফুটিয়ে নেওয়া হত একটি বড় পাত্রে। এরপর ১৫-১৫ লিটারের ক্যান ও টিনে প্যাক করে ব্র্যান্ডেড কোম্পানির লেবেল লাগিয়ে এগুলো বিক্রির জন্য পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন: (Lifestyle Tips: ইঁদুরের বংশ সাফ হয়ে যাবে, লবঙ্গেই সমাধান, ঘরের কোণে রাখুন এভাবে)
তিনগুণ উপার্জন
কর্মচারীরা বলেছেন যে এক কেজি নকল ঘি তৈরি করতে ১৭৫ টাকা খরচ হয়। বাজারে বিক্রি হয় প্রতি কেজি ৬৫০ টাকায়। বাজারে পতঞ্জলি ঘি প্রতি কেজি ৬৬৫ টাকায় পাওয়া গেলেও অভিযুক্তরা তা তৈরি করত দামের চারভাগের একভাগ খরচে। গত এক বছর ধরে এ ব্যবসা চললেও দায়িত্বশীলরা এই বিষয়টি সম্পর্কে অবগত ছিলেন না।