গত কয়েকদিন কিছুটা শান্ত ছিল সীমান্ত। তবে গতরাতে ফের নাকি বিকট বিস্ফোরণের আওয়াজ শোনা যায় কক্সবাজারের টেকনাফ এলাকায়। রিপোর্ট অনুযায়ী, নাফ নদের তীরবর্তী শাহপরীর দ্বীপের বাসিন্দারা এই আওয়াজ শুনতে পান। দাবি করা হচ্ছে, রাত ২টো নাগাদ প্রায় আট থেকে দশ রাউন্ড গুলি চলার আওয়াজ পাওয়া যায় সীমান্তের ওপার থেকে। এছাড়াও মর্টারের আওয়াজও নাকি পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। এরই মাধ্যে সামাজিক মাধ্যমে একাধিক ব্যক্তি দাবি করেছেন, টেকনাফ এবং বান্দরবনের বেশ কিছুটা অংশ হয়ত আরাকান আর্মি দখল করে নিয়ে থাকতে পারে। যদিও বাংলাদেশ সরকার এই নিয়ে কোনও মন্তব্য এখনও করেনি। এছাড়া বাংলাদেশের ভূখণ্ডে আরাকান আর্মি পা রেখেছে বলে কোনও পোক্ত প্রমাণও পাওয়া যায়নি এখনও। (আরও পড়ুন: ক্র🅰মেই বাড়ছে 'মাথা ব্যথা', '👍স্বীকার করলেন' বাংলাদেশের মুখ্য উপদেষ্টা ইউনুস)
আরও পড়ুন: সংসদে ধাক্কাধাক্কি কাণ্ডে মুখ🌃 খুললেন রাহুলও গান্ধী, দেখা করলেন আহত BJP নেতার সাথে
উল্লেখ্য, বর্তমানে রাখাইন প্রদেশের সিংহভাগটাই আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণে। এই রাখাইন প্রদেশের সঙ্গেই বাংলাদেশের ২৭১ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে অনানুষ্ঠানিকভাবে আরাকান আর্মির সঙ্গে বাংলাদেশ সরকার সম্পর্ক সম্পর্ক স্থাপন করতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন বাংলাদেশের বৈদেশিক উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন। এদিকে গত ২০১৭ সাল থেকে এই বছর মংডু দখলের আগে পর্যন্ত বাংলাদেশে প্রায় ৮ লাখ রোহিঙ্গা প্রবেশ করেছিল মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশ থেকে। বর্তমানে বাংলাদেশের ৩৩টি শিবিরে মোট ১২ লাখ রোহিঙ্গা বসবাস করে বলে জানা গিয়েছে। তবে এখনও প্রায় ৫ লাখ রোহিঙ্গা মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশে থাকে। এরই মাঝে অভিযোগ উঠেছে, মংডু শহর দখলের পর থেকেই রোহিঙ্গাদের ওপর অত্যাচার শুরু করেছে আরাকান আর্মির সদস্যরা। (আরও পড়ুন: নিজেদের কাছে নেই, তাও ভারতে পরমাণু হামলার হুমকি বাংলাদেশি প্রাক্তন সেনা ক🎐র্নেলে🐼র)
আরও পড়ুন: ফের বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দরে য♛াচ্ছে পাকিস্তানি ෴জাহাজ, এবার কন্টেইনারে আছে...
আরও পড়ুন: LAC-তে সেনা𒅌র উপস্থিতি কমায়নি চিনꦆ, PLA নিয়ে বড় দাবি আমেরিকার
এদিকে বর্তমান পরিস্থিতিতে বান্দরবান ও কক্সবাজার 𝓰সীমান্তে টহল জোরদার করেছে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ। তাও এরই মাঝে সীমান্ত পার করে𝔉 বাংলাদেশে ঢুকে পড়ছে রোহিঙ্গারা। গত সাত বছর ধরে রোহিঙ্গাদের তাদের দেশে ফেরত পাঠানোর চেষ্টা করেছে বাংলাদেশ। তবে এর মধ্যে একজন রোহিঙ্গাকেও মায়ানমারে ফেরত পাঠানো যায়নি। প্রসঙ্গত, আগে থেকেই রোহিঙ্গারা কক্সবাজার এলাকার বিশাল জায়গা জুড়ে রয়েছে। এর জেরে কক্সবাজারের পরিবেশ দূষণ এবং অপরাধ বেড়েছে বলে অভিযোগ। অর্থ উপার্জনের জন্যে মাদক পাচার, মানব পাচার, অস্ত্র পাচারের মতো কর্মকাণ্ডে যুক্ত বহু রোহিঙ্গা। এই আবহে আরও বেশি সংখ্যক রোহিঙ্গা বাংলাদেশে ঢুকলে তা মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়াবে মহম্মদ ইউনুসের জন্যে।