এবার কꦆি তাহলে আমাদের পড়শি রাজ্য় অসমে একেবারে আইনসম্মতভাবেই মোষের লড়াইয়ের আয়োজন করা হবে? শনিবার তেমনই ইঙ্গিত দ🌃িলেন সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা।
এদিন তিনি জানান, তাঁর সরকার এই বিষয়ে নয়া আইন প্রণয়নের পরিকল্পনা করছে। যা আইনত রাজ্যে🐷✤ মোষের লড়াই আয়োজন করার অনুমতি দেবে।
এদি🎃ন এ🍷কটি নতুন সেতু উদ্বোধন করেন হিমন্ত। ওই সেতুপথে মারিগাঁও এবং জাগিরোডের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপন করা হয়েছে। সেই অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকেই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, মোষের লড়াই শুধু খেলা নয়, একটি ঐতিহ্য। যার সংরক্ষণ করা দরকার।
প্রসঙ্গত, অসমের মূলত মারিগাঁও জেলার আহত🌳গুড়ি এলাকায় এই খেলার চল দেখা যায়। যা প্রতি বছর জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝি মাঘ বিহু উৎসবের সময় আয়োজন করা হয়। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এই উৎসব রাজ্যের 'সমৃদ্ধ ঐতিহ্যের' একটি অংশ।
এই প্রসঙ্গ হিমন্ত বলেন, 'আহতগুড়ির মোষের লড়াইয়ের ঐতিহ্যের সঙ্গে একটি সমৃদ্ধ ইতিহাস জড়িয়ে রয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশিকা (যে নির্দেশিকায় মোষের লড়াইকে ঐতিহ্য🎃ের অংশ হিসাবে উল্লেখ করা হয়) মেনে আমাদের সরকার ঠিক করেছে, একটি নতুন আইন প্রণয়ন করা হবে। যার মাধ্যমে আহতগুড়ির এই মোষের লড়াইকে ঐতিহাসিক ক্রীড়ার স্বীকৃতি দেওয়া হবে। যাতে প্রতি বছর এর আয়োজন করা যায়।'
উল্লেখ্য, এর আগেও ২০২৩ সালে অসম সরকার একটি 'স্ট্যান্ডার্ড অপারেশন প্রসিডি♚ওর' (এসওপি) ইস্যু করে রাজ্য়ে মোষಌের লড়াই এবং বুলবুলির লড়াই করানোর ব্যবস্থা করেছিল। কিন্তু, গত বছর গুয়াহাটি হাইকোর্ট এই দুই প্রাচীন খেলার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে দেয়। একটি পশুপ্রেমী সংগঠনের তরফে রুজু করা মামলার পরিপ্রেক্ষিতে এই রায় দেন বিচারপতি দেবাশিস বড়ুয়া।
অসমে মোষের লড়াইকে বলা হয়, মোহ-জুজ। যা রাজ্য়ের নানা অংশে রীতিমতো জনপ্রিয়। কিন꧂্তু, ২০১৪ সালে সুপ্রিম কোর্ট এই খেলার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। পরবর্তীতে ২০২৩ সালের মে মাসে সুপ্রিম কোর্টই আবার সেই নিষেধাজ্ঞা প্রত্য়াহার করে নেয়। এক্ষেত্রে শীর্ষ আদালত তামিলনাড়ু, মহারাষ্ট্র এবং কর্ণাটক সরকারের আইনি সংস্কারের বিষয়গুলিও উল্লেখ করে।
এরপর ২০২৩ সালের ডিಌসেম্বর ꧟মাসে অসমের রাজ্য মন্ত্রিসভা উপরোক্ত এসওপি-টি কার্যকর করে। যাতে এই ধরনের আয়োজনে কোনও পশু বা পাখির উপর অত্য়াচার না করা হয়, তার জন্যই এই এসওপি জারি করা হয়।