ভারত-পাক সংঘর্ষের আবহে মোদী সরকারের হয়েই গলা ফাটাতে শোনা গিয়েছে কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুরকে। এমনকী মোদীর নীতিকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন বর্ষীয়ান এই নেতা। এরপর প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পি চিদাম্বরমও একই অবস্থান গ্রহণ করেন। এই আবহে সম্প্রতি একটি ইংরেজি সংবাদপত্রে 'অপারেশন সিঁদুর' এবং ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষবিরতি নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্তের প্রশংসা করে একটি নিবন্ধ লিখেছেন চিদাম্বরম। শুধু তাই নয়, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে তৈরি ইন্ডিয়া জোটের অস্তিত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। তাঁর এই নিবন্ধন প্রকাশিত হওয়ার পরই রাজনৈতিক মহলে জল্পনা চরমে। (আরও পড়ুন: বাংলাদেশের বুকে কꦡাঁপুনি ধরিয়ে চিকেন নেকে ভারতীয় সেনার 'তিস্তা প্রꦜহার')
আরও পড়ুন: কবে থেকে বকেয়া ডিএ মেটাতে হবে রা👍জ্যকে? সরকারি কর্মীদের পকেটে ঢুকবে কত?
এদিকে বৃহস্পতিবার এক অনুষ্ঠানে চিদাম্বরম ইন্ডিয়া জোটের স্থায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, 'আমি পুরোপুরি নিশ্চিত নন যে এই জোট এখনও অটুট কি না।' দিল্লির ইন্ডিয়া ইন্টারন্যাশনাল সেন্টারে 'কনটেস্টিং ডেমোক্রেটিক ডেফিসিট' বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন। নিজের দীর্ঘ রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা শেয়ার করে চিদম্বরম বলেন, 'শুধু ভোটের সময় জোট গঠন করা যায় না।' তিনি বলেন, 'জোট নিয়ে আমার ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে। আমি তামিলনাড়ুতে আমার দীর্ঘ অভিজ্ঞতা থেকে শিখেছি যে নির্বাচনের সময় জোট গঠন হয় না, তাদের পাঁচ বছর লালন করতে হয়। দেশের মাত্র দুটি রাজ্য রয়েছে যেখানে এই মডেল সফল হয়েছে, কেরল ও তামিলনাড়ু।' (আরও পড়ুন: রাজ্য সরকারি কর্মীদের বকেয়া ডিএ-র ২৫% কি ꦍদেওয়া হবে? যা বললেন সরকারের ম🃏ন্ত্রী)
আরও পড়ুন: মিসাইলের প্রয়োজনই ন🍒েই, ফ্লাশ ඣকরে করেই পাকিস্তানকে এবার 'ধুয়ে দেবে' ভারত
এদিকে বিজেপিকে নিয়ে তিনি বলেন, দেশের ইতিহাসে বিজেপির মতো সংগঠিত রাজনৈতিক দলের অস্তিত্ব নেই। চিদাম্বরের কথায়, 'এটা শুধু পার্টি নয়, এটা একটা মেশিন। এর পেছনে আরও একটি মেশিন 🦋রয়েছে। তারা একসাথে দেশের প্রতিষ্ঠানগুলি নিয়ন্ত্রণ করে। নির্বাচন কমিশন থেকে শুরু করে থানা। প্রতিটি শাখায় ওদের সংগঠন অত্যন্ত জোরাল। যদিও আমি এটা বলছি না যে আমরা একদলীয় শাসনের মধ্যে আছি।' এরই সঙ্গে তিনি বলেন, 'আমার মনে হয় ইন্ডিয়া জোটে ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল নয়, যেমনটা বইতে লিখেছেন মৃত্যুঞ্জয় সিং যাদব। এর উত্তর একমাত্র সলমন (খুরশিদ) দিতে পারবে। কারণ ইন্ডিয়া জোট গঠনের আলোচনা দলে ও ছিল। যদি ২০২৯ সালের লোকসভা ভোট পর্যন্ত এই জোট টিকে থাকে, তাহলে সবথেকে খুশি আমিই হব। যার জন্য এখনও সময় আছে, এখনও একে জোট বেঁধে রাখা যায়।'