হিংসা থামাতে 'ব্যর্থ' হয়ে মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিলেন এন বীরেন সিং। প্রায় বছরদুয়েক আগে রাজ্যে যে জাতিগত সংঘর্ষ শুরু হয়েছিল, তা এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি। সেজন্য দীর্ঘদিন ধরেই তাঁর ইস্তফার দাবি তুলে আসছিলেন বিরোধী নেতারা। যদিও সেই পথে হাঁটেননি বীর🐈েন। কিন্তু রবিবার মণিপুরের রাজ্যপাল অজয়কুমার ভাল্লার কাছে নিজের ইস্তফাপত্র জমা দিয়েছেন। সঙ্গে ছিলেন বিজেপি এবং নাগা পিপলস ফ্রন্টের ১৪ জন বিধায়ক। ছিলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি এ শারদা এবং উত্তর-পূর্ব ভ𒊎ারতে বিজেপির দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা সম্বিত পাত্রও।
কেন্দ্রের গুরুত্বপূর্ণ কাজ কী হবে? বলে দিলেন বীরেন
তাঁদের উপস্থিতিতেই রাজ্যপালের হাতে যে ইস্তফাপত্র তুলে দেন মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী, তাতে কেন্দ্🧔রীয় সরকারের কাছে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরেন।🐠তিনি জানিয়েছেন, হাজার-হাজার বছরের ইতিহাস সমৃদ্ধ মণিপুরের আঞ্চলিক অখণ্ডতা বজায় রাখা, অবৈধ অনুপ্রবেশ রোখা ও অনুপ্রবেশকারীদের ফেরত পাঠানো, মাদক সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাওয়া, দ্রুত সীমান্ত সুরক্ষিত করার মতো বিষয়ের উপরে অগ্রাধিকার দিতে হবে।
আর সেই পুরো পদত্যাগ-পর্ব ঘটল, তার কিছুটা আগেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডার সঙ্গে দেখা করে দিল্লি থেকে ফেরেন বীরেন। শনিব🍨ার সন্ধ্যায় দিল্লি উড়ে যাওয়ার আগে বিজেপির নেতৃত্বাধীন শাসক জোটের বিধায়কদের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর সচিবালয়ে বৈঠক করেন। আগামিকাল (সোমবার) থেকে যে বিধানসভা অধিবেশন শুরু হচ্ছে, তা নিয়েই আলোচনা করতে বৈঠক ডাকেন বীরেন। যে অধিবেশনে সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনতে চাইছিল কংগ্রেস।
সবকিছু ধ্বংসের পরে সরানো হল, আক্রমণ কংগ্রেসের
তারইমধ্যে বীরেনের ইস্তফা দেওয়ার ঘটনায় কংগ্রেস নেতা উদিত র🌠াজ বলেছেন, 'যখন কংগ্রেস ওঁনাকে সরিয়ে দেওয়ার দাবি তুলছিল, সেটা সঠিক সময় ছিল। কিন্তু ওঁনাকে সরিয়ে দেওয়া হয়নি। দুটি গোষ্ঠীর মধ্যে চিরকালের জন্য সংঘাত তৈরি করে দেওয়া হল।' সেইসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সবকিছু ধ্বংস করে দেওয়ার পরে মুখ্যমন𒊎্ত্রীকে সরিয়ে দিয়ে কোনও লাভ হবে না।’