তৃতীয়বারের মতো ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আজ শপথ নেবেন নরেন্দ্র মোদী। ২০১৪ এবং ২০১৯ সালে পরপর দু'বার বিপুল সংখ্যক আসন পেয়ে সরকার চালানোর পর এবারে তাঁকে সত্যিকার অর্থে জোট সরকার চালাতে হবে। এই আবহে তাঁর মন্ত্রিসভার চেহারা হবে ভিন্ন। আজ তাঁর সঙ্গে নয়া সরকারের মন্ত্রীদেরও শপথ নেওয়ার কথা রয়েছে। আর আজ মোদী এবং তাঁর মন্ত্রিসভার শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে প্রতিবেশী বেশ কয়েকটি দেশের রাষ্ট্রপ্রধানসহ বেশ কয়েকজন বিদেশি অতিথি উপস্থিত থাকবেন। এরই সঙ্গে থাকবেন আরও বেশ কয়েকজন বিশিষ্ট অতিথি। (আরও পড়ুন: ভারত-চিন সম্পর্কের 🅷ক্ষতে 'মলম' লাগাবে মোদী ৩.০? বেজিংকে নয়া বার্✱তা দিল্লির)
আরও পড়ুন: নিজ্জর হত্যাকꦬাণ্ডে নয়া মোড়, আচমকাই ভারত সফরে আসেন কানাডার গোয়েন্দা প্রধান
লোকসভা নির্বাচনের পর ভারতীয় জনতা পার্টি একক বৃহত্তম দল হিসেবে আবির্ভূত হয়। তবে গতবারের তুলনায় বিজেপি অনেক কম সংখ🍬্যক আসন পেয়েছে ২০২৪ সালে। এবারের ভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা থেকে ৩২টি আসন কম পেয়েছে বিজেপি। এই আবহে মোদী ৩.০ সরকাไর টিকিয়ে রাখতে চন্দ্রবাবু নাইডু এবং নীতীশ কুমারের সমর্থ অত্যাবশ্যক হয়ে পড়েছে। রিপোর্টে দাবি করা হচ্ছে, চন্দ্রবাবু নাইডুর টিডিপি চারটি মন্ত্রক পেতে পারে মোদী ৩.০ সরকারে। রিপোর্টে দাবি করা হচ্ছে, টিডিপির রাম মোহন নাইডু, হরিষ বালাযোগী, দগ্গুমালা প্রসাদরা মোদী ক্যাবিনেটে ঠাঁই পেতে পারেন। এদিকে রিপোর্টে বলা হয়েছে, লোকসভার স্পিকারের পদও চেয়েছেন চন্দ্রবাবু। এদিকে নীতীশ কুমারের দলের লালন সিং এবং রাম ঠাকুর এবারে মোদী মন্ত্রিসভায় স্থান পেতে পারেন বলে দাবি করা হচ্ছে রিপোর্টে। এদিকে জেডিইউ নিজেও স্পিকার পদের জন্য দাবি জানিয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে।
মোদী ৩.০ সরকারে ৭৮ থেকে ৮১ জন মন্ত্রী হতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে। তবে সবাই আজ শপথগ্রহণ করব🐻েন না। এনডিটিভির রিপোর্ট অনুযায়ী, আজ প্রায় ৩𒈔০ জন মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিতে পারেন। এদিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক, প্রতিরক্ষা, অর্থ মন্ত্রক এবং বিদেশ মন্ত্রক বিজেপির কাছেই থাকবে বলে জানা গিয়েছে। এছাড়া শিক্ষা, সংস্কৃতি, তথ্যসম্প্রচার, সংসদ বিষয়ক মন্ত্রকও বিজেপি নিজের কাছেই রাখতে পারে।
এদিকে রেল মন্ত্রক নিয়ে বেশ টানাটানি চল൩ছে। এই আবহে শেষ পর্যন্ত রেল মন্ত্রক কার ভাগ্যে জোটে, তার দিকে নজর আছে অনেকেরই। ওদিকে এলজেপির চিরাগ পাসওয়ানকেও ক্যাবিনেট মন্ত্রী করা হতে পারে। এদিকে এলজেপি নিজেদের জন্য রেল মন্ত্রকের দাবি জানিয়েছে। তবে শেষ পর্যন্ত তাদের কোন মন্ত্রক দেওয়া হয়, তা এখনও নিশ্চিত নয়। এর আগে জেপি নড্ডার বাসভবনে বিজেপির শীর্ষ স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে বসে শরিক দলগুলি মন্ত্রক বণ্টন নিয়ে দর কষাকষি করেছিল বলে খবর মিলেছে। এদিকে শিরমণি অকালি দলকেও ফের এনডিএ-তে শামিল করার বিষয়ে কথাবার্তা চলছে বলে দাবি করা হয়েছে টাইমস অফ ইন্ডিয়ার রিপোর্টে। এদিকে একনাথ শিন্ডের শিবসেনাকে একটি মন্ত্রক দেওয়া হতে পারে এবারে। অপরদিকে জনসেনার প্রতিষ্ঠাতা পবন কল্যাণকে মন্ত্রী করার বিষয়ে আগ্রহী বিজেপি। তবে তিনি নিজে মন্ত্রী না হলে তাঁর দলের কোনও সাংসদকে হয়ত মন্ত্রী নাও করা হতে পারে। তবে এই সবের মাঝে একটা বিষয় স্পষ্ট, এবারের সরকারের চেহারা বিগত দু'বারের থেকে পুরো আলাদা হতে চলেছে জোট সমীকরণের জন্যে।