ভারত মহাসাগরে ক্রমেই প্রভাব বিস্তার করছে চিন। তবে চিনের জাল কাটতে শ্রীলঙ্কা সফরে বড় চাল দিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শ্রীলঙ্কায় চিনের আধিপত্য কমাতে মাস্টারস্ট্রোক খেলল ভারত। রিপোর্ট অনুযায়ী, শ্রীলঙ্কার ত্রিঙ্কোমালিতে ভারত, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি ও শ্রীলঙ্কা মিলে একটি বড় শক্তি কেন্দ্র গড়ে তুলবে। আজ সেই প্রকল্প সংক্রান্ত মউ স্বাক্ষরিত হয়। সেই প্রকল্প নিয়ে ঘোষণাও করা হয়েছে। এই পদক্ষেপ শুধু তিন দেশের পারস্পরিক সহযোগিতাকেই জোরদার করবে না বরং চিনের শত শত কোটি ডলারের প্রকল্পকেও চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলবে। (আরও পড়ুন: মার্কিন মুলু💜কে 'দাম' নেই বাংলাদেশিদের! ভিসা থাকা সতඣ্ত্বেও বিতাড়িত বহু)
আরও পড়ুন: ইউনুসকে মোদীর💙 বার্তার পরই লাঙ্গলবন্দে বাংলাদেশি উপদেষ্টা, হিন্দুদের বললেন…
শনিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঐতিহাসিক কলম্বো সফরের সময় ত্রিঙ্কোমালি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। শ্রীলঙ্কার বামপন্থী প্রেসিডেন্ট অনুরা কুমারা দিশানায়েকে ক্ষমতায় আসার পর মোদী এই প্রথম শ্রীলঙ্কা সফরে গেলেন। ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিশ্রি, শ্রীলঙ্কার জ্বালানি সচিব অধ্যাপক অজিত সিং এবং অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ত্রিপক্ষীয় এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। কেটিএম উদয়াঙ্গা হেম্পালা এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রতিনিধিরাও সেই মউতে স্বাক্ষর করেন। (আরও পড়ুন: ব্যাঙ্ককের বৈঠকে হাসিনাকে নিয়ে ইউনুসকে কী বলেন মোদী? বড় দাবি বাংলাদেশ সরꦑকারের)
আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কাকে দিয়ে দেওয়া দ্বীপ ফেরত চাইছেন ভরতীয়রা,জানুন কচ্ছতিভুর বিতর্কꦑিত ইতিহাস
ত্রিঙ্কোমালির তাৎপর্য কী?
শ্রীলঙ্কার ত্রিঙ্কোমালি একটি প্রাকৃতিক গভীর জলের বন্দর এবং কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়। এখন এই ত্রিঙ্কোমালিতে গড়ে উঠবে একটি বড় শক্তি কেন্দ্র তৈরি হতে চলেছে। এই প্রকল্পের আওতায় মাল্টি প্রোডাক্ট পাইপলাইন, অয়েল ট্যাংক ফার্ম এবং লজিস্টিক অবকাঠামো তৈরি করা হবে। ইন্ডিয়ান অয়েলের শ্রীলঙ্কা শাখা ইতিমধ্যেই এই ট্যাঙ্ক ফার্মগুলির একটি অংশ পরিচালনা করছে। এই প্রকল্প সংক্রান্ত মউ এমন একটা সময়ে স্বাক্ষরিত হল যখন চিন হাম্বানটোটা বন্দর এবং শ্রীলঙ্কায় ৩.২ বিলিয়ন ডলারের তেল শোধনাগারের মতো বড় প্রকল্পের কাজ করছে। এমন পরিস্থিতিতে ভারতের এই প্রকল্প শ্রীলঙ্কায় চিনকে পাল্লা দিতে পারে। উল্লেখ্য, মাঝে মাঝেই নিজেদের 'গুপ্তচর জাহাজ' নিয়ে এসে শ্রীলঙ্কায় নোঙর ফেলতে চায় চিন। এতে🐻 ভারত দীর্ঘিন ধরে আপত্তি জানিয়ে আসছে। এই আবহে আজ দিশানায়েকে মোদীকে আশ্বাস দিলেন, শ্রীলঙ্কার মাটি ব্যবহার করে ভারতের ক্ষতি করতে দেওয়া হবে না কাউকে। এরই মাঝে ত্রিঙ্কোমালির প্রকল্প নিয়ে ঘোষণা করা হল।