পাকিস্তানের বায়ুসেনার হামলায় আফগানিস্তানের মাটিতে মৃত্যু হয়েছে ৪৬ জনের। এমনই দাবি করল সেখানকার তালিবান সরকার। এদিকে পাকিস্তানের দাবি, আফগানিস্তানে লুকিয়ে থাকা পাকিস্তানি তালিবানের আস্তানায় এয়ারস্ট্রাইক চালানো হয়েছে। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার আফগানিস্তানে অবস্থিত একটি জঙ্গি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে অভিযান চালায় পাকিস্তানি বায়ুসেনা। ইসলামাবাদের সূত্র দাবি করছে, সেই অভিযানে পাক তালিবানের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটি ধ্বংস হয়েছে। সেই অভিযানে কয়েকজন জঙ্গিও মারা গিয়েছে বলে দাবি করে পাকিস্তানি সরকারি সূত্র। এদিকে নিজেদের মাটিতে প্রতিবেশীদের এই হামলা হজম করতে পারছে না আফগান তালিবান। এহেন পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের থেকে প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দিয়েছে তারা। (আরও পড়ুন: ATM-এর পাশাপাশি ই-ওয়ালেটেও মিলতে পারে PF-এর ট🐲াকা? RBI-এর সাথে আলোচജনা সরকারের)
আরও পড়ুন: '🦩৭ তারিখ দেখব, নয়ত…', ডিএ মামলায় বড় পদক্ষেপের পথে সরকারি কর্মীরা? 'ভয়টা' কীসের?
উল্লেখ্য, আফগানিস্তান বিষয়ক পাকিস্তানের বিশেষ প্রতিনিধি মহম্মদ সাদিক দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বৃদ্ধি ও সম্পর্ক উন্নয়নসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করতে কাবুল সফরে গিয়েছিলেন সম্প্রতি। সেই সফরের কয়েক ঘণ্টা পর এই হামলা চালানো হয়। পাকতিকা প্রদেশের বারমাল জেলায় পাকিস্তানের ধারাবাহিক বিমান হামলা চালানো হয়েছে। আফগানিস্তান ভিত্তিক খামা প্রেস দাবি করেছে, গত ২৪ ডিসেম্বর রাতে লামানসহ সাতটি গ্রাম লক্ষ্য করে চালানো ওই হামলা চালানো হয়। বারমালের মুর্গ বাজার গ্রামটি ধ্বংস হয়ে গিয়েছে এই হামলায়। (আরও পড়ুন: 'বন্ধু সে🍸জে বাংলাদেশে ডাকাতি','আজব যুক্তিতে' মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে ভারতক𝓰ে তোপ জামাতের)
আরও পড়ুন: ঢাকায় সচ💙িবালয়ে আগুন, জ্বলছে আসি🍸ফ-নাহিদদের মন্ত্রকের ভবন, মৃত ১ দমকলকর্মী
এদিকে পাকতিকায় বিমান হামলার পর পাল্টা জবাব দেওয়ার 'প্রতিশ্রুতি' দিয়েছে তালিবান প্রতিরক্ষা মন্ত্র💫ক। এই হামলার তীব্র নিন্দা জানানো হয়েছে তালিবানের তরফ থেকে। তারা এই হামলাকে 'পাশবিক' এবং 'কাপুরুষোচিত' আখ্যা দিয়েছে। এই নিয়ে বলা হয়েছে, দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করার বৈধ অধিকার রয়েছে তাদের। এদিকে দাবি করা হয়েছে, হামলায় ক্ষতিগ্রস্তরা 'ওয়াজিরিস্তানি শরণার্থী'। তালিবান সরকারের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ বলেন, 'মঙ্গল♕বার রাতে পারিস্তান বারমাল জেলার চার জায়গায় বোমা বর্ষণ করে। এর জেরে মোট মৃতের সংখ্যা ৪৬। মৃতদের অধিকাংশই মহিলা এবং শিশু।'
উল্লেখ্য, বিগত কয়েকদিন ধরেই পাকিস্তানি সেনার ওপরে তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তানের হামলা বেড়েছে। আফগান প্রতিরক্ষা𒆙 মন্ত্রণালয় বলেছে, পাকিস্তানি পক্ষের জানা উচিত যে, এ ধরনের একতরফা পদক্ষেপ কোনও সমস্যার সমাধান নয়। এদিকে এই জঙ্গিদের আশ্ไরয় দেওয়ার জন্যে আফগান তালিবানদের বিরুদ্ধে তোপ দেগে চলেছে পাকিস্তান। এর আগে গত মার্চ মাসে আফগানিস্তানের মাটিতে এমনই ভাবে পাকিস্তান হামলা চালিয়েছিল।
প্রসঙ্গত, তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান বা টিটিপি ২০২২ সালের নভেম্বর থেকে পাকিস্তানি সেনা ও পুলিশের উপর হামলা জোরদার করেছে। সাম্প্রতিক কিছু হামলায় তাদের হাতে পাকিস্তানের কয়েক ডজন সেনা জওয়ানের মৃত্যু ঘটেছে। মূলত তালিಞবান আফগানিস্তানে ক্ষমতা দখলের পরই পাক তালিবান গোষ্ঠীর কার্যকলাপ বৃদ্ধি পেয়েছে। এদিকে আফগান তালিবানরা এই পাক জঙ্গি গোষ্ঠীকে মদত দিচ্ছে বলে অভিযোগ। এহেন পরিস্থিতিতে তালিবান এবং পাক সরকারের মধ্যে সম্পর্কে তিক্ততা বেড়েই চলেছে।