দেশের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন কেন্দ্রীয় বাজেটে অন্যান্য রাজ্যগুলিকে বঞ্চনা করেছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন বিরোধী নেতা–নেত্রীরা। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, তিনি শুধু অন্যান্য রাজ্যকে বঞ্চিত করেননি। কেন্দ্রীয় সরকারের সড়ক যোগাযোগ এবং হাইওয়ে মন্ত্রককেও বঞ্চিত করেছেন। যা নিয়ে এখন গোটা দেশে আলোচনায় তোলপাড় হচ্ছে। এই মন্ত্রকের মন্ত্রী নীতীন গড়কড়ি। সুতরাং আলোচনা শুধু বাজেট নিয়ে নয়, তা ছড়িয়ে পড়েছে রাজনীতির আঙিনাতেও♊। এমন আলোচনা শুরু হওয়ার কারণ, গত ১০ বছরের মধ্যে এবার সব থেকে কম বরাদ্দ করা হয়েছে এই মন্ত্রককে।
এই বিষয়টি শুনতে অবাক লাগলেও বাস্তবে তেমনই ঘটেছে। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন ২০২৫–২৬ অর্থবর্ষে ২.৯ লক্ষ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছেন নীতীন গড়কড়ি র মন্ত্রককে। যা ২০২৫ অর্থবর্ষের সংশোধিত বরাদ্দের থেকে মাত্র ২.৪ শতাংশ বেশি। গত ১০ বছরে যা সবচেয়ে কম বেড়েছে। এই কারণেই এমন বরাদ্দ নিয়ে আলোচনা তুঙ্গে উঠেছে। যদিও এই নিয়ে কেন্দ𒅌্রীয় সড়ক যোগাযোগ মন্ত্রী প্রকাশ্যে কিছুই বলেননি। এই বিষয়টির মধ্যে রাজনীতিও ঢুকে পড়েছে। যেহেতু নীতীন গড়কড়ি আরএসএস ঘেঁষা এবং কেন্দ্রীয় সরকারের নানা বিষয়ে মাঝেমধ্যে মুখ খুলেছেন তাই তাঁর মন্ত্রককে গত ১০ বছরের তুলনায় কম বরাদ্দ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কোচবিহারের বিজেপি বিধায়ককে জিজ্ঞাসাবাদ পুলিশের, তিন ঘণ্টায় কী তথ্য হাতে এল?
যদিও এই দাবি মানতে নারাজ কেন্দ্রীয় সরকার। সূত্রের খবর, বহু প্রকল্প কার্যকর করা বাকি এমন পরিস্থিতি নয় এই মন্ত্রকের। আবার নতুন কোনও হাইওয়ে ফ্ল্যাগশিপ কর্মসূচি অনুমোদন পেয়েছে তাও নয়। তাহলে বরাদ্দ বাড়িয়ে কী লাভ হবে? এমন প্রশ্নই মাথায় রেখে ২০২৫–২৬ অর্থবর্ষে ২.৯ লক্ষ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। সেক্ষেত্রে বাড়েনি কেউ বলতে পারবে না।♌ যদিও সেটা ১০ বছরে সবচেয়ে কম বৃদ্ধি। এই আবহে মন্ত্রক আশা করছে তারা ২০২৫ সালের বরাদ্দ খরচের লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছে যাবে। কেন্দ্রীয় সরকার ন্যাশনাল হাইওয়ে অথরিটিকে অনুমতি দিয়েছে বাজেট বরাদ্দ থেকে প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকা প্রি–পেমেন্ট করতে।
এছাড়া ন্যাশনাল হাইওয়ে অথরিটিকে ২০২৫ অর্থবর্ষে ১.৯ লক্ষ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল। যা ২০ হাজার কোটি টাকা বৃদ্ধি করে। কেন্দ্রীয় সরকার বাজেট থেকে ন্যাশনাল হাইওয়ে অথরিটিকে সম্পূর্ণ তহবিল সরবরাহ করে চলেছে এবং ঋণ নেওয়ার জন্য কোনও ব্যবস্থা করেনি। পরবর্তী অর্থবর্ষে ঋণের বোঝা কমানোর লক্ষ্য নিয়েই তা করা হয়েছে। চলতি অর্থবর্ষের শুরুতে ন্যাশনাল হাইওয়ে অথরিটির মোট ঋণের পরিমাণ ছিল ৩.৩ লক্ষ কোটি টাকা। যা ২🐓০২৫ সালের অর্থবর্ষের ত্রৈমাসিকের শেষে প্রায় ২.৮ লক্ষ কোটি টাকায় নেমে এসেছে।