করোনা আবহে বিভিন্ন বিধি নিষেধের মধ্যেই রকেট গতিতে এগিয়ে চলেছে যোগীগড় উত্তরপ্রদেশের ভোট প্রস্তুতি পর্ব। বিভিন্ন রাজনৈতিক শিবির নিজেদের কৌশল নির্ধারণে আপাতত ব্যস্ত। গোবলয় রাজনীতির পারদ চড়ানো ২০২২ উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা ভোটে বিপক্ষকে ঠেকাতে কৌশল কী হতে পারে, তা নিয়ে লখনউতো হাইভোল্টেজ বৈঠকে বসেন সমাতবাদী পার্টির অখিলেশ যাদব ও🐷 রাষ্ট্রীয় লোকদলের জয়ন্ত চৌধুরী।
জাঠ-দলিত-মুসলিম সমীকরণের ভোটব্যাঙ্ককে সঙ্গে নিয়ে উত্তরপ্রদেশের পশ্চিমাংশের রাজনীতি এযাবৎকাল এগিয়েছে। সেই প্রেক্ষাপটে এবার কোন চালে কিস্তিমাত করা যাবে উত্তরপ্রদেশের পশ্চিমাংশে , তা নির্ধারণ করতে যোগী বিরোধী শিবিরের দুই সেনাপতি বৃহস্পতিবার বৈঠকে বসেন লখনউতে। এই হাইভোল্টেজ বৈঠকে সমাজবাদী পার্টির অখিলেশ যাদব ও রাষ্ট্রীয় লোকদলের তরফে দাপুটে নেতা জয়ন൩্ত চৌধুরী আসন সমঝোতা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন বলে জানা গিয়েছে। এদিনের বৈঠক নিয়ে অখিলেশ নিজেও একটি টুইট করেন। উল্লেখ্য, উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচন ২০২২ -এ বিজেপি বিরোধী শিবিরে সমাজবাদী পার্টির সবচেয়ে বড় সহযোগী আরএলডি বা রাষ্ট্রীয় জনতা দল। আর সেই দলের তরফে জয়ন্ত চৌধুরী ও সমাজবাদী পার্টির অখিলেশের বৈঠক ভোট মরশুমে যে খুবই তাৎপর্যপূর্ণ তা বলাই বাহুল্য। উল্লেখ্য, ২০১৭ সাল থেকে উত্তরপ্রদেশের বুকে সম🔯াজবাদী পার্টি ও রাষ্ট্রীয় লোকদলের সমঝোতা রয়েছে। ২০১৭ এর বিধানসভা ভোটের পর উপনির্বাচনেও দুই দল কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এগিয়েছে। এরপর লখনউতে দুই নেতার বৃহস্পতিবারের তিন ঘণ্টার বৈঠকে নতুন করে ২০২২ সালের বিধানসভা নির্বাচন ঘিরে ছক সাজানো হয়েছে বলে খবর।
বৈঠকের পর জয়ন্ত চৌধুরী ও অখিলেশ যাদব নিজের টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে একটি ছবি♚ পোস্ট করেন। সেখানে আলাদা আলাদা ট্যাগ লাইনে নিজের মতো করে বার্তা দেন উত্তরপ্রদেশের রাজনীতির দুই তরুণ তুর্কী। উল্লেখ্য, উত্তরপ্রদেশের রাজনৈতিক সমীকরণের দিক থেকে ২০১৭ সালে সমাজবাদী𒉰 পার্টি, বহুজন সমাজবাদী পার্টি, কংগ্রেস জোট বেঁধেছিল। সেই সময় অখিলেশদের সঙ্গে ছিল আরএলডিও। এরপর মায়াবতীর বহুজন সমাজবাদী পার্টি ও কংগ্রেসের হাত অখিলেশরা ছেড়ে দিলেও, জয়ন্তের আরএলডির সঙ্গে সপার অখিলেশের জোট মজবুত হতে থাকে। তবে সেই জোট ২০২২ বিধানসভা ভোটে কতটা দাপট দেখাতে পারে তার উত্তর তোলা রয়েছে সময়ের হাতে।