ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের দেওয়া পরামর্শ মানতে পারল না ইন্ডিয়ান ꧙ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন তথা আইএফএ। ভারতীয় ফুটবলের মানচিত্রে বাংলার ফুটবলারের সংখ্যা যাতে আরও বাড়ে, সেই কারণেই বাংলার সরকার অনেক চেষ্টা করছে। এবারের সন্তোষ ট্রফিজয়ী বাংলা দলকে পুরস্কার স্বরূপ সরকারি চাকরি পর্যন্ত দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তব🐟ে কলকাতা লিগেই যে বাংলার ফুটবলারদের থেকে ভিন রাজ্যের ফুটবলারদের সংখ্যা বেশি।
বাংলার ফুটবলারদের হয়ে সওয়াল করেন ক্রীড়ামন্ত্রী
কয়🌌েক বছর আগেই এআইএফএফ সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, কলকাতা লিগসহ রাজ্যের লিগগুলোয় আর বিদেশিরা খেলবে না। ফলে ভারতীয় ফুটবলারদের খেলানোর জোর বাড়ে। এরপর আইএফএ-ও সিদ্ধান্ত নিয়েছিল প্রতি ম্যাচে চার ভূমিপুত্রকে মাঠে রাখতে হবে। সন্তোষ ট্রফিতে বাংলার ভালো পারফরমেন্সের পর সেই সংখ𝓀্যাই বাড়ানোর কথা বলেছিলেন রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী।
ভবানীপুর ক্লাবের এক অনুষ্ঠানে গিয়ে ক্রীড়ামন্ত্রী আইএফএ-কে প্রস্তাব দিয়েছিলেন, যাতে কলকাতা লিগে পারলে ১১জন ভূমিপুত্রকে রেখে দল সাজাতে বলা হয় ক্লাবগুলোকে। অর্থাৎ বাংলার ছেলেদের আরও বেশি করে তুলে আনাই লক্ষ্য ছিল তাঁর। তবে ১১ জন তো দূর, ৬জন ভূমিপুত্র খেলানোর🧔 সিদ্ধান্ত পর্যন্ত নিতে পারল না বাংলা ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা।
কলকাতা লিগে এবার থেকে ৫ ভূমিপুত্র
বৃহস্পতিবার আইএফএর বৈঠকে লিগের দলগুলোকে নিয়ে বসেছিলেন কর্তারা। সেখানে আইএফএ প্রস্তাব꧟ দেয় ৭ ভূমিপুত্রকে মাঠে রাখার, পাল্টা বেশ কয়েকটা দল আবার দাবি জানায় ১১জন বাঙালি দিয়েই দল সাজানোর। যদিও বেশ কয়েকটি ক্লাবের তরফে বিরোধিতা করা হয় ভূমিপুত্র বেশি খেলানোর প্রস্তাবের। অর্থাৎ ৭টি বাঙালি ফুটবলার খেলানোর পক্ষে রাজি হয়নি বেশ কয়েকটি ক্লাব, আর তাতেই বাধ্য হয়ে আইএফএ সিদ্ধান্ত নিল কলকাতা লিগে ৫জন করে বাঙালি ফুটবলার দলে রাখতে হবে, অর্থাৎ গতবারের থেকে ১জন অতিরিক্ত ভূমিপুত্রকে খেলাতে হবে।
অনুপস্থিত মোহনবাগান, ডায়মন্ড হারবার
প্রসঙ্গত এদিনের এই বৈঠকে কলকাতা লিগে খেলা দল মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট এবং সদ্য আইলিগে ওঠা দল ডায়মন্ড হারবার ফুটবল ক্লাব কোনও কর্মকর্ܫতা পাঠায়নি। ꦰএমনিতেই মোহনবাগান তেমন গুরুত্ব দেয় না আইএফএ-কে। আর কলকাতা লিগে গতবার ইস্টবেঙ্গল এবং ডায়মন্ড হারবার এফসিকে নিয়ে যে জটিলতা তৈরি হয়েছিল, তার জেরে আইএফএর ওপর বিরক্ত ডায়মন্ড হারবার।