ঢেকে রাখা অটো থেকেই সন্দেহ হয়েছিল স্থানীয় বাসিন্দাদের। সেজন্য পুলিশে খবর দেওয়া হয়। তল্লাশিতে ওই অটো থেকে ১৯ টি বোমা, একটি আগ্নেয়াস্ত্র এবং দুই রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে বলে খবর। কী কারণে অটোয় বোমা, অস্ত্রশস্ত্র রাখা হয়েছিল, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
শুক্রবার গভীর রাতে হরিদেবপুর ৪১ পল্লি ক্লাবের কাছে একটি অটো দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। কাপড়ের মোটা আস্তরণ দিয়ে অটো ঘেরা ছিল। কেন কাপড় দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে, তা নিয়ে সন্দেহ হয়। তড়িঘড়ি পুলিশকে খবর দেন স্থানীয় বাসিন্দারা। রাতেই ঘটনাস্থলে এসে তল্লাশি চালায় পুলিশ। খুলে ফেলা হয় কাপড়। অটোতে তল্লাশি চালিয়ে একটি ব্যাগ উদ্ধার করা হয়। ব্যাগের মধ্যে ছিল ১৯ টি বোমা। অটোর সামনে-পিছন, চালকের বসার আসন, ব্রেকের জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে একটি আগ্নেয়াস্ত্র এবং দুই রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: কুলতলিতে অস্ত্র কারখানার হদিশ মিলল, হাতেনাতে গ্রেফতার মালিক, শুরু তদন্ত
ইতিমধ্যে অটো বাজেয়াপ্ত করে হরিদেবপুর থানা আনা হয়েছে। অটো চালক বা মালিকের হদিশ মেলেনি। অটোর নম্বরের সূত্র ধরে অটোর বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। সূত্রের খবর, লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগও তদন্ত শুরু করবে। তবে কলকাতার জনবহুল এলাকায় কীভাবে এত পরিমাণে বোমা এল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। রাজ্যের এক প্রাক্তন পুলিশকর্তার বক্তব্য, বারুদের স্তূপের উপর বসে আছে রাজ্য। শুক্রবার রাতে যে বোমা উদ্ধার করা হয়েছে, তা হিমশৈলের চূড়ামাত্র।