বিদেশে চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়েই কলকাতায় নিয়ে আসা হতো যুবকদের। তারপর অপহরণ করে দাবি করা হতো মুক্তিপণ। এই ঘটনা সম্প্রতি দেখা গিয়েছিল বিধাননগরে। এবার সেই ঘটনায় মূলচক্রীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এবার নয়াদিল্লির সাবেদাবাদ থেকে মূলচক্রীকে গ্রেফতার করল কলকাতা পুলিশ। তারপর গাজিয়াবাদ আদালতে তোলা হয়। আজ, বৃহস্পতিবার ট্রানজিট রিমান্ডে কলকাতায় নিয়ে আসা হয়েছে রাকেশ কুমার করোটিয়া নামের ব্যক্তিকে। অপহরণ কাণ্ডে এই ব্যক্তির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল বলে মনে করছে পুলিশ। আজ, তাঁকে ব্যারাকপুর আদালতে তোলা হবে।
কী তথ্য পাওয়া গিয়েছে? পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পেরেছেন, গোটা অপারেশনটি হয়ে যাওয়ার পর নানা মোবাইল থেকে চাকরি প্রার্থীদের বাড়িতে ফোন করে অপহরণের ঘটনা জানিয়ে মুক্তিপণ চাওয়া হতো। সেই মোবাইল থেকে রাজেশ ফোন করে এই কাজ করত। সেই তথ্য হাতে আসে পুলিশের। তখন সূত্র ধরে পুলিশ পৌঁছয় নয়াদিল্লির সাবেদাবাদে। সেখানে টাওয়ার লোকেশন ট্র্যাক করে এই অভিযুক্তের কাছে পৌঁছয় পুলিশ। আর গ্রেফতার করা হয়।
কী করত এই রাজেশ? তদন্তকারীদের হাতে যে তথ্য এসেছে তাতে দেখা যাচ্ছে, মূলত অপহরণ করার পরিকল্পনা করত রাজেশ। আর গোটা পরিকল্পনাটি সাফল্য পেলে মুক্তিপণের টাকা চাইতে ফোন করত। গোটা ঘটনার নেপথ্যে রাজেশ কুমার করোটিয়ার বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। কীভাবে অপহরণের ছক করা হবে? মুক্তিপণ কত টাকা হবে? সবটাই এই রাজেশ ঠিক করে দিত। এই রাজেশ কুমার করোটিয়ার সঙ্গে কথোপকথন চলত বলে পুলিশ জানতে পেরেছে। অপহরণ করে মুক্তিপণ চাওয়ার অভিযোগে এই নিয়ে মোট ১১ জনকে গ্রেফতার করা হল।