২০২৬ সালে বাংলায় বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে। তাই সব রাজনৈতিক দলই এখন থেকে কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে। কিন্তু এই আবহে তৃণমূল কংগ্রেসের সমস্ত বিধায়ক, সাংসদ, পঞ্চায়েত প্রধান থেকে শুরু করে বুথ স্তরের কর্মীদের উদ্দেশে সার্কুলার জারি করেছে দল। আর এই সার্কুলারে যা আছে তাতে কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়তে বাধ্য। এই সার্কুলার নিয়ে এখন জোর চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে রাজ্য–রাজনীতিতে। তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বস্তরের জনপ্রতিনিধি–নেতা এবং কর্মীদের উদ্দেশে এই জরুরি সার্কুলার পাঠানো হল দলের অন্দরেই।
এদিকে ভোটার সম্পর্কে নানা ধরনের তথ্য জোগাড় করছে জনৈক কিছু ব্যক্তি। এরা তৃণমূল কংগ্রেসের কেউ নয়। এই ভোটারদের সম্পর্কে তথ্য জানতে নানা ধরনের উপায় অবলম্বন করছে তারা। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, ওই ব্যক্তিরা ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারদের সম্পর্কে নানা তথ্য সংগ্রহ করছে। ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আর বেশি বাকি নেই। এই আবহে এমন ঘটনা ঘটছে খবর পেয়ে এখন থেকেই দলের সমস্ত কর্মীর কাছে বার্তা পাঠিয়ে সচেতন করল তৃণমূল কংগ্রেস। আর এই ব্যক্তিদের সম্পর্কে খোঁজখবর নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিশেষ কায়দায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করছে একদল লোক বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন: এবার এনআইএ’র হাতে গ্রেফতার মূল অভিযুক্ত, ময়নার বিজেপি কর্মী খুনের রহস্যভেদ
অন্যদিকে এই ঘটনার পর তৃণমূল কংগ্রেস যে সার্কুলার জারি করেছে তাতে লেখা আছে , স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের নামে কিছু কুচক্রী ভোটারদের বাড়ি বাড়ি যাচ্ছে। আর সেখানে গিয়ে কোথাও মশলা, আবার কোথাও অন্যান্য সামগ্রী বিনামূল্যে বিতরণ করার পরিবর্তে তাদের নাম, ফোন নম্বর এবং অন্যান্য তথ্য সংগ্রহ করছে। এসবের পিছনে বিশাল চক্রান্ত এবং ষড়যন্ত্র রয়েছে। তাই অবিলম্বে আপনার/আপনাদের অঞ্চলে লক্ষ্য রাখুন এবং সর্বস্তরের বুথ কর্মীদের নিয়ে বৈঠক করে সকলকে সচেতন এবং সতর্ক করুন। কয়েকটি এজেন্সি এখন ময়দানে নেমে পড়েছে। বুথভিত্তিক ভোটারদের খবর সংগ্রহ করছে। এসবের পিছনে অন্য কোনও উদ্দেশ্য থাকতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব।
এছাড়া এই জনৈক ব্যক্তিরা ভোটারদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপেও ঢুকে যাচ্ছে। এদের উদ্দেশে দলের নেতাদের সার্কুলার পাঠিয়ে সমস্ত খবর নিতে বলা হয়েছে। তাই এমন কিছু বাংলার ভোটাররা দেখতে পেলে সঙ্গে সঙ্গেই এফআইআর করুন এবং তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্বকে জানাতে বলা হয়েছে। এটা কারা করছে? তাহলে কি বিরোধী দল এই কাজে জড়িত? ওই তথ্য জোগাড় করে লাভ কী? ভোটারদের প্রভাবিত করার উপায় কি? ওই ব্যক্তিরা কি চর? এমন নানা প্রশ্ন এখন উঠছে রাজ্য–রাজনীতিতে। যার উত্তর এখনও মেলেনি।