আয়ুর্বেদ এবং আয়ুর্বেদিক অনুশীলনগুলি দীর্ঘকাল ধরে স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করেছে। আয়ুর্বেদিক ‘পঞ্চকর্ম’ হল প্রাচীন ভারতের একটি ঐতিহ্যগত ডিটক্সিফিকেশন এবং পুনরুজ্জীবন থেরাপি। এটি শরীরের শক্তির ভারসাম্য বজায় রাখে এবং এটি দেহে জমে থাকা টক্সিন পরিষ্কার করে, যা পরোক্ষভাবে ওজন কমাতে সহায়তা করতে পারে। রোহিত রায়ও মাত্র ১৪ দিনে ৬ কেজি ওজন কমিয়েছেন। অভিনেতা ভাগ করে নেন কীভাবে তিনি আয়ুর্বেদিক ‘পঞ্চকর্ম’-এর জন্য কেরালায় গিয়েছিলেন এবং এটি তাঁর ওজন কমাতে সাহায্য করেছিল।
'অনস্টপেবল' পডকাস্টকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান যে ওষুধের কার্যকারিতা বাড়ানোর জন্য শরীর ডিটক্সিফাই করার মাধ্যমে থেরাপি শুরু হয়। তিনি বলেন, 'আমি হজমের সমস্যা নিয়ে সেখানে গিয়েছিলাম কিন্তু একজন রূপান্তরিত ব্যক্তি হিসাবে ফিরে এসেছি। আমি ১৪ দিনে ৬ কিলো ওজন কমিয়েছি, জলের ওজন থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত হয়েছি। বর্তমানে আমি পুনরুজ্জীবিত বোধ করছি। আমি কোনও অ্যালার্ম ছাড়াই সকাল ৬ টায় ঘুম থেকে উঠতে শুরু করেছি। এই সমস্ত পরিবর্তন ঘটেছিল শুধু মাত্র এই কারণে। তাই এখন আমার একমাত্র লক্ষ নিজেকে ফিট রাখা।'
আরও পড়ুন: 'কল মি বে' মুক্তির আগে করণের কাছে এ কোন আবদার করলেন অনন্যা!
তিনি আরও জানান যে, ‘পঞ্চকর্ম’ তাঁর জন্য একটি বার্ষিক আচারে পরিণত হয়েছে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'আমি এখন বছরে দু'বার যাই, তবে সেটা অবশ্যই আমার সময়সূচীর উপর নির্ভর করে। কখনও কখনও ১০ দিনের জন্য যাই। আমি ওজন কমাতে যাই না মূলত ডিটক্সফাই করতে যাই নিজেকে। যখন আমি ফিরে আসি, তখন আমার শরীর আগের থেকে অনেক সুস্থ বোধ করে এবং আরও নতুন কিছু গ্রহণ করার জন্য প্রস্তুত হয়।'
আরও পড়ুন: ভিকিকে 'তৌবা তৌবা' গানে নাচতে দেখে ক্ষেপে লাল স্যাম মানেকশের মেয়ে
পঞ্চকর্ম কি?
'পঞ্চকর্ম' শব্দের অর্থ 'পাঁচটি ক্রিয়া' বা পাঁচটি চিকিৎসা। আয়ুর্বেদিক পঞ্চকর্ম হল একটি ডিটক্সিফিকেশন এবং পুনরুজ্জীবন চিকিৎসা যা প্রতিটি ব্যক্তির নির্দিষ্ট প্রয়োজনের জন্য কাঠামোগত এবং ব্যক্তিগত ভাবে করা হয়। এটি ব্যক্তির গঠন, প্রকৃতি এবং শরীরের যেকোনও ভারসাম্যহীনতা বা বিকৃতির মূল্যায়ন করে তবে করা হয়। একজন আয়ুর্বেদিক বিশেষজ্ঞের পুঙ্খানুপুঙ্খ পরামর্শের মাধ্যমে এই চিকিৎসা শুরু হয়। এই মূল্যায়নের উপর ভিত্তি করে, একটি অনন্য ‘পঞ্চকর্ম’ চিকিৎসা ডিজাইন করা হয়। এতে পাঁচটি থেরাপিউটিক পদ্ধতি অন্তর্ভুক্ত হয় যার লক্ষ্য দেহের শুদ্ধিকরণ। ব টক্সিনকে শরীর থেকে বের করে শরীরের ভারসাম্য পুনরুদ্ধার করা (বাত, পিত্ত) ।