মিউজিক ভিডিয়ো অ্যালবাম তৈরির নাম করে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বিহারে। এরপর সেখানে আটকে রেখে অশ্লীল নাচ করতে বাধ্য করা হয়। শেষ পর্যন্ত বাংলার ৮ নাবালিকা সহ মোট ১৭ জনকে উদ্ধার করল পুলিশ। উদ্ধার হওয়া বাংলার নাবালিকারা দক্ষিণ ২৪ পরগণা এবং উত্তরবঙ্গের বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: ধর্ষণের হাত থেকে ৬ বছরের শিশুকে বাঁচাল বাঁদরের দল, ঘটনাস্থল থেকে চম্পট আগন্তুক
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২৩ মে ন্যাশনাল কমিশন ফর প্রটেকশন অব চাইল্ড রাইটসের পক্ষ থেকে পুলিশে অভিযোগ করা হয়। তাদের কাছে খবর পেয়ে মাশরাক, পানাপুর ও ইসিয়াপুর এলাকায় হানা দিয়ে তাদের উদ্ধার করে পুলিশ। এছাড়াও, এই চক্রে জড়িত থাকার অভিযোগে ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে বিহার পুলিশ।
প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, অভাব অনটনের তাড়নায় এইসব নাবালিকারা উপার্জন করতে চাইছিলেন। তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে এক যুবক। সে গানবাজনা ও বিভিন্ন জায়গায় অনুষ্ঠান করে বেড়াত। ওই যুবক তাদের মিউজিক ভিডিয়ো অ্যালবাম তৈরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। এমনকী বলিউড ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে প্রবেশের সুযোগ করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। তাদের ৮ হাজার টাকা মাসিক বেতনের প্রস্তাব দেয় ওই যুবক। সেই ফাঁদে পা দেয় নাবালিকারা। এরপর তাদের নিয়ে যাওয়া হয় বিহারের একটি হোটেলে। পরে সেখানে তাদের অর্কেস্ট্রা পার্টির হাতে তুলে দেওয়া হয়। আর তারপরেই আপত্তি সত্ত্বেও অশ্লীল পোশাক পরিয়ে হোটেলের পার্টি থেকে শুরু করে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে নাচতে বাধ্য করা হয়। তদন্তকারীরা জানতে পারেন, মোটা টাকার বিনিময়ে ওই নাবালিকাদের অর্কেস্ট্রা পার্টির কাছে বিক্রি করা হয়েছিল। এই চক্রে আরও কারা জড়িত তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।
উদ্ধার হওয়া নাবালিকারা পশ্চিমবাংলা সহ পাঁচটি রাজ্যের বাসিন্দা। সারণ পুলিসের এসপি কুমার আশিস জানান, অর্কেস্ট্রা পার্টিগুলির সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশার কিছু চক্র সক্রিয় রয়েছে। শুক্রবার রাতে তিনটি জায়গায় তল্লাশি মোট ১৭ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। এরমধ্যে মধ্যে বাংলার ৮ জন, ওড়িশার ৪ জন, দিল্লি ও ঝাড়খণ্ডের দু’জন করে এবং বিহারের একজন নাবালিকা রয়েছে। এই চক্রে আরও কারা জড়িত ধৃতদের তা জেরা করে জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।