বর্ধমানে পুলিশ পরিচয়ে এক অন্তঃসত্ত্বা মহিলা আইনজীবীকে মারধরের ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে। এনিয়ে নিন্দার ঝড় উঠতেই এক অভিযুক্তকে গ্রে𝓡ফতার করল পুলিশ। ধৃতের নাম রোহিত দাস। শক্তিনগর থানা এলাকার বাড়ি থেকে বর্ধমান থানার পুলিশ রোহিতকে গ্রেফতার করেছে। তবে মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন রোহিত। তিনি দাবি করেছেন, মহিলা আইনজীবী এবং তাঁর স্বামীর সঙ্গে শুধু তাঁদের কথা কাটাকাটি হয়েছিল। ধৃত দাবি করেছেন, তাঁর দাদা উলুবেরিয়া থানার পুলিশ। তাঁর বাইক নিয়েই তিনি ঘুরতে বেরিয়েছিলেন বলে দাবি করেছেন। এদিকে, এই মারধরের ঘটনার প্রতিবাদে আজ বর্ধমান জেলা আদালতে একদিনের কর্মবিরতি পালন করছেন আইনজীবীরা। আদালতের বার অ্যাসোসিয়েশনের হুঁশিয়ারি, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত পদক্ষেপ না করা হলে আগামী দিনে বৃহত্তর আন্দোলনে নামবেন।
আরও পড়ুন: ‘জয় বাংলা🌸’ স্লোগান দিতেই মারধর করা হল আইনজীবীকে, আদালত চত্বরে তপ্ত বাতাবরণ
ঘটনার সূত্রপাত দোলের দিন ১৫ মার্🔴চ। অভিযোগ, মহিলা আইনজীবী তাঁর স্বামী, দিদি ও জামাইবাবুর সঙ্🤡গে গাড়িতে বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময় বর্ধমান শহরের বিগবাজার রামকৃষ্ণ রোড মোড় এলাকায় পুলিশের স্টিকার লাগানো একটি বাইক তাঁদের গাড়িতে ধাক্কা মারে। বাইকে দুজন ছিলেন। আইনজীবী এনিয়ে প্রতিবাদ করতেই বাইক আরোহীরা তাঁদের ওপর চড়াও হন। আরোহীদের একজন আইনজীবীর ঘাড় ধরে গাড়ি থেকে নামিয়ে দেন। এমনকী মহিলার পরিচয় জানার পরে অভিযুক্ত দাবি করেন তিনি পুলিশ। অভিযোগ, এরপরই আইনজীবীর পেটে লাথি মারা হয়। যারফলে অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় থাকার জন্য তা মারাত্মক বিপদ ডেকে আনতে পারে বলে অভিযোগ করেছেন আইনজীবী ।
আরও অভিযোগ, ঘটনার পর মহিলা বর্ধমান থানায় যান। কিন্তু, প্রথমে পুলিশ অভিযোগ নিতে চায়নি। পরে অবশ্য অভিযোগ নেয় পুলিশ। গোটা ঘটনার প্রতিবাদে বুধবার বর্ধমান আদালতে কর্মবিরতি পালন করেন আইনজীবীরা। বর্ধমান বার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সদন তা জানান, ‘এই ধরনের নক্কারজনক ঘটনা আমরা কেউই মেনে নিতে পারিনি। তাই কর্মবিরতি পালন করছি।’ ঘটনার বিচার বার পুলিশকে চিঠি দিয়ে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানায়। তারপরেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে বর্ধ🦹মান আদালতে তোলা হয়।
জানা গিয়েছে, আদাল🐲তে তোলার আগে রোহিত দাবি করেছেন, মারধরের অভিযোগ সত্যি নয়। পরিবারের লোকজন তাঁর সঙ্গে ছিলেন। তাঁর দাদা উলুবেড়িয়া থানার পুলিশ। তাঁর বাইক নিয়েই ♚বেরিয়েছিলেন। শুধু সামান্য কথা কাটাকাটি হয়েছিল। মারধরের ঘটনা ঘটেনি।