মার্চ মাসের শেষে কয়লা পাচার কাণ্ডে মলয় ঘটককে নয়াদিল্লিতে তলব করে ইডি। তখন ডাকা হয়েছিল তাঁর আপ্ত সহায়ককেও। কিন্তু সেদিন হাজিরা এড়িয়ে যান রাজ্যের আইনমন্ত্রী। তারপর সরাসরি তিনি দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। প্রথম দফায় ১২ এপ্রিল পর্যন্ত রাজ্যের মন্ত্রীকে মৌখিক রক্ষাকবচ দেয় আদালত।
মলয় ঘটক।
কয়লা পাচার কাণ্ডে তাঁকে তলব করা হয়েছিল। তাঁর কাছ থেকে সময় নিয়েই তবে তলব করেছিল ইডি। কিন্তু আবার হাজিরা এড়ালেন রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক। এখন পঞ্চায়েত নির্বাচন সামনে রাজ্যে। তার জন্যই তিনি নয়াদিল্লি যেতে পারছেন না বলে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটকে (ইডি) জানিয়েছেন। আজ, সোমবার তাঁর নয়াদিল্লিতে গিয়ে ইডির দফতরে হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল। তার জন্য ১৫ দিন আগে রাজ্যের মন্ত্রীকে নোটিশ পাঠানো হয়েছিল। তাঁকে ফোন করে সময় জেনেই তলব করা হয়েছিল। তারপরও তিনি ওই ডাকে সাড়া দিলেন না।
তবে এদিন সংবাদমাধ্যমের কাছে তিনি দাবি করেন, আজকে কোনও হাজিরার কথা ছিল না। ইডি তাঁকে কোনও সমন পাঠায়নি। যদিও গত ৫ জুন কয়লা পাচার কাণ্ডে মলয় ঘটককে হাজিরার নোটিশ পাঠিয়েছিল ইডি। আজ, সোমবার নয়াদিল্লির ইডি দফতরে তাঁকে হাজিরা দিতে বলা হয়েছিল। কিন্তু আজও তিনি হাজিরা এড়ালেন। আগেও বেশ কয়েকবার হাজিরা এড়িয়েছেন আসানসোল উত্তরের বিধায়ক মলয় ঘটক। এই হাজিরা এড়িয়ে যাওয়ায় নানা গুঞ্জন শুরু হয়েছে রাজ্য–রাজনীতিতে।
এদিকে মন্ত্রী মলয় ঘটকের পক্ষ থেকে ইডিকে জানানো হয়েছে, সামনেই রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন রয়েছে। তাই প্রচারের কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। প্রচার ও সংগঠনের কাজ নিয়ে নানা জেলায় যেতে হচ্ছে। ফলে একদম সময় হচ্ছে না। এই কারণে নযাদিল্লিতে গিয়ে তাঁর পক্ষে হাজিরা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। ২০২২ সালের ২২ সেপ্টেম্বর মলয় ঘটকের বাড়ি–সহ তাঁর অফিসে তল্লাশি চালায় ইডি অফিসাররা। তারপর আদালতের নির্দেশ ছিল, মলয় ঘটক একজন রাজ্যের মন্ত্রী। তাই তাঁকে তলব করতে হলে সময় দিতে হবে।