চাকরিহারা শিক্ষকদের আন্দোলন নিয়ে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় হিংসা থেকে বিরত থাকতে বার্তা দিয়েছেন। তবে আন্দোলন চালাতে নিষেধ করেননি। আবার বিচারব্যবস্থার উপর আস্থা রাখতেও বলেছেন দু’জন। চাকরি ফেরানোর দাবিতে গত বৃহস্পতিবার থেকে অবস্থান বিক্ষোভ করছেন চাকরিহারা শিক্ষক–শিক্ষিকারা। বিকাশ ভবনের সামনে এই বিক্ষোভ থেকেই ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। আর এবার এই ঘটনা নিয়ে মন্তব্যে মুখ্যমন𓆏্ত্রী এবং ডায়মন্ডহারবারের সাংসদকে নিশানা করলেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। যা নিয়ে এ𓄧খন জোর চর্চা চলছে।
এদিকে আজ, মঙ্গলবার সকালে ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণ করতে এসে প্রাক্তন সাংসদ তথা বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। আর সেখানেই মমতা এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কাঠগড়ায় তোলেন। দু’জনের মন্তব্য নিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘ওরা থ্রেট দিচ্ছেন। বদনাম করছেন। এটা ঠিক করছেন না। ওরা ভেবেছিলেন শিক্ষকরা আর কি এমন আন্দোলন করবেন। ভোট আসছে। প্রচুর চাকরি হারা। তাদের কথা👍 নিয়ে চর্চা হচ্ছে। সরকার কি নিজের দায়িত্ব এড়াতে পারে? যত সমস্যা সবটাই তো পার্টির লোকেদের জন্য। সমস্যার সমাধান না করে সমস্যা চেপে রাখা হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: বেসরকারি বাসের ধাক্কায় গাড়ির ৫ যাত্রীর মৃত্যু, মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনায় নদিয়ায় আলোড়ন
অন্যদিকে শিক্ষকদের এই আন্দোলন বারবার হিংসায় পরিণত হয়েছে দেখা গিয়েছে। কসবায় ডিআই অফিসে হিংসার ঘটনা থেকে শুরু করে বিকাশ ভবনের গেট ভাঙচুর, পুলিশকে আক্রমণ, বিধাননগর পৌরসভার চেয়ারম্যানকে ঘিরে চোর স্লোগান সবই সামনে এসেছে। তবে দিলীপ ঘোষের বক্তব্য, ‘ওই যে ৮০০০ অযোগ্য তাদের থেকে ৮০০ কোটি টাকা নেওয়া হয়েছে। ♔পার্থবাবু ভিতরে আছেন। তাঁরও এতে হাত আছে। তাই ব্যাপারটাকে খাটো করা হচ্ছে। পুলিশ কী করেছে? যেদিন কসবা ডিআই অফিস ঘেরাও হল সেদিন আমরা পুলিশের কি রূপ দেখেছি? ওটা কি শিক্ষকদের পাওনা? জুতো লাথি লাঠি! তাঁদের চাকরির প্রশ্ন। তাঁরা তো এখন সবকিছু করতে মরিয়া। তাঁদের প্রভোক করছেন কেন?’