কর্মশিক্ষা ও শারীরশিক্ষায় শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে কাটল না জটিলতা। স্থগিতাদেশের মেয়াদ বাড়াল কলকাতা হাইকোর্ট। এর আগে এই নিয়োগের ক্ষেত্রে আজ বুধবার পর্যন্ত স্থগিতাদেশ ছিল। তা আরও একমাস বাড়িয়ে দিল রাজ্যের উচ্চ আদালত। বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু জানিয়ে দিয়েছেন, আগামী ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত অথবা পরবর্তী কোনও নির্দেশ না হওয়া পর্যন্ত এই নিয়োগে স্থগিতাদেশ থাকবে। এর পাশাপাশি গ্রামের স্কুলগুলিতে শিক্ষকদের যোগ দিতে 🅷অনিহা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিচারপতি।
গত ১৯ মে কর্মশিক্ষা ও শারীরশিক্ষা বিভাগে ১ হাজার ৬০০টি অতিরিক্ত ﷽শূন্যপদ তৈরির বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন। তা নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগে তুলে মামলা হয় কলকাতা হাইকোর্টে। মামলাকারীদের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য দাবি করেন, এই অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি করার অধিকার রাজ্যের নেই। এদিকে, কমিশন আগেই আদালতের কাছে আবেদন জানিয়েছিল, যাদের নিয়োগ বাতিল হয়েছে অতিরিক্ত শূন্যপদে তাঁদের যেন নিয়োগের জন্য অনুমতি দেওয়া হয়। যদিও রাজ্য সরকার এই নিয়োগের বিরোধিতা করেছিল। এই মামলার পর🐭বর্তী শুনানি আগᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚামী ২১ ডিসেম্বর ধার্য করেছেন বিচারপতি। এর আগে গত ১৮ নভেম্বর এই নিয়োগে স্থগিতাদেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। নিয়োগ মামলায় রাজ্য সরকার এবং কমিশনের ভূমিকা নিয়ে এদিনও প্রশ্ন ওঠে।
অন্যদিকে, শিক্ষকদের পোস্টিং এবং বদলি নিয়েও রাজ্🤪যকে পদক্ষেপ করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দেন বিচারপতি। বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, অনেক শিক্ষক গ্রামের স্কুলগুলিতে যেতে চান না। অধিকাংশই শহর বা শহরতলির স্কুলে বদলি চান। বিচারপতির মতে, শহর ও শহরতলির অনেক স্কুল রয়েছে যেখানে শিক্ষক রয়েছে কিন্তু ছাত্র নেই। আবার গ্রামাঞ্চলের স্কুলগুলিতে ছাত্র থাকলেও পর্যাপ্ত শিক্ষক নেই। এরপরেই এ বিষয়ে রাজ্য সরকারকে প্রয়োজনীয় নীতি নির্ধারণ করার পরামর্শ দেন বিচারপতি। একইসঙ্গে শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘হয় গ্রামের স্কুলে🌜 যান না হলে চাকরি ছাড়ুন।’