আট তলার কার্নিশ থেকে ফিরিয়ে আনা যায়ಞনি। মল্লিকবাজারের নিউরো সায়েন্সের আট তলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন তিনি। শনিবারের সকালে তখন রাস্তায় চরম ব্যস্ততা। অফিস–কাছারি কিংবা কাজের জন্য সবাই ব্যস্ত। তখনই চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটে গেল মল্লিকবাজারের নিউরো সায়েন্স হাসপাতালে। হঠাৎই দেখা যায়, ওই হাসপাতালের আটতলার কার্নিশে বসে এক ব্যক্তি। হাত নাড়ছেন পথচারীদের। সেই দৃশ্য দেখে ভিড় জমতে থাকে এলাকায়। তারপরই দমকল এসে নামানোর তোড়জোড় করলে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন ঝাঁপ দিয়ে। কার্নিশে বসে থাকা ব্যক্তিটি ওই হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে আসা রোগী। তাঁর নাম সুজিত অধিকারী (৩৫)। লেকটাউন শ্রীভূমির বাসিন্দা।
ঘটনার নেপথ্যে কী রয়েছে? অতিরিক্ত মদ্যপানের ইতিহাস আছে। আজ, শনিবার ছুটি হওয়ার কথা ছিল। তাই বাড়ির লোকজন এসেছিল। কিন্তু তার আগেই কার্নিশে চলে য🏅ান। দেড় ঘন্টা কার্নিশে থা🍸কার পর ঝুলতে গিয়েই হাত ফস্কে সোজা আট তলা থেকে প্রথমে ছয় তলা তারপর চারতলায় ধাক্কা খেয়ে সোজা হাসপাতাল চত্বরের রাস্তায় আছড়ে পড়েন সুজিত। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে দ্রুত ওই হাসপাতালের আইসিইউ–তে ভর্তি করা হয়। আপাতত সেখানেই চলছে চিকিৎসা। দীর্ঘ অবসাদে ভুগতে থাকা সুজিত তাই আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়।
কী কী চেষ্টা করা হয়েছিল? কার্নিশ থেকে ফিরিয়ে আনতে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া🔥 হয়েছিল তাঁর ৯ বছরের ছেলেকে৷ কিন্তু তাঁর ডাকেও একবার ঘাড় ঘুরিয়ে তাকানো ছাড়া সꦦাড়া দেননি সুজিত অধিকারী৷ পেশায় লোহার ব্যবসায়ী সুজিতের দুই সন্তান রয়েছে৷ দুই ছেলের বয়স যথাক্রমে ৯ এবং ৫। সুজিতের ঠাকুমা শিবানী দেবী বলেন, ‘আমাদের সংসারে কোনও সমস্যা ছিল না৷ কিন্তু কয়েকদিন আগে স্ত্রীর মৃত্যুর পর থেকেই না𓄧তি বদলে গেল৷ 𓆉ঠিক মতো খাওয়া দাওয়া করত না।’
কেন অবসাদ ঘিরে ধরল সুজিতকে? পরিবার সূত্রে খবর, ছোটবেলায় বাবা–মাকে হারিয়েছিলেন সুজিত অধিকারী। বিয়ের পর স্ত্রী এবং দুই সন্তানকে নিয়ে সুখেই ছিলেন। কিন্তু সেটাও স্থায়ী হয়নি। কিডনির অসুখে আক্রান্ত হ⛎য়ে স্ত্রীর মৃত্যু হলে অবসাদে ভুগতে শুরু করেছিলেন সুজিত। স্নায়ু সংক্রান্ত সমস্যা দেখা দিয়েছিল বলেই নিউরো সায়েন্সে ভর্তি হন সুজিত। সুজিতের দুই সন্তান একমাস আগেই মাকে হারিয়েছে। এবার বাবার এমন পরিণতি। ছোটবেলায় সুজিত বাবা–মাকে হারানোয় শিবানী দেবী তাঁকে বড় করে তুলেছিলেন। স্ত্রী মারা যাওয়ার পর খিঁচুনি হতো সুজিতের। তখনই তাঁকে ওই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দু’দিন আগেই ভর্তি হন। আজ, শনিবার ছেড়ে দেওয়ার কথা ছিল। এখন প্রশ্ন উঠছে, দুই সন্তানের কী হবে?