নতুন করে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলেন অভিনেতা আশিস বিদ্যার্থী। ৫৭ বছর বয়সে এসে রেজিস্ট্রি ম্যারেজ সারলেন অসমিয়া ফ্যাশন ডিজাইনার রূপালি বড়ুয়ার সঙ্গে। অভিনেতার বিয়ের খবর প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই শুরু হয়েছে চরম ট্রোল। কেউ কেউ আবার শুভেচ্ছাও জানিয়েছেন। এবার অভিনেতা নিজে𒉰ই সমস্ত কিছু নিয়ে মুখ খুললেন। দিলেন জবাব।
আশিস বিদ্যার্🥂থী শুক্রবার, ২৬ মের রাতে ফে𝓀সবুকে লাইভ করেন। সেখানে তিনি যেমন তাঁর প্রাক্তন স্ত্রী পিলু বিদ্যার্থীকে নিয়ে কথা বলেন তেমনই জানালেন কীভাবে তাঁর আলাপ হয়েছিল রূপালি বড়ুয়ার সঙ্গে। তাঁদের সম্পর্কের নানা অজানা কথা প্রকাশ্যে আনলেন এদিন।
আশিস এদিন তাঁর ভিডিয়োতে স্পষ্ট করে 𒐪জানিয়ে দেন তাঁর বা পিলুর কারও একে অন্যের বিরুদ্ধে কোনও রাগ নেই। তাঁরা তাঁদের সম্পর্ক বন্ধুত্বপূর্ণ ভাবে দুজনের সহমতিতে শেষ করেছেন। তাঁদের ২২ বছরের বিবাহ জীবন ভাঙার কারণও এদিন জানা🃏ন আশিষ।
অভিনেতা তাঁর লাইভে এসে বলেন, 'দিন শেষে আমরা সবাই কিন্তু খুশি থাকতে চাই। আর এই খুশির জন্য আজ থেকে ২২ বছর আগে আমরা একে অন্যের হাত ধরেছিলাম। বিয়ে করেছিলাম। আমাদের জীবনে আমাদের সন্তান অর্থ আসে। তারও আজ বয়স ২২। কিন্তু এত সুন্দর একটা সময় কাটানোর পর আমি আর পিলু ক্রমশ বুঝতে পারছিলাম যে আমরা আর ভালো নেই। বরং আমরা আমাদের ভবিষ্যতটা অনেকটাই আলাদা ভাবে দেখি। যদিও আমরা দুজনেই আপ্রাণ চেষ্টা করেছিলাম এই বিয়েটা টিকিয়ে রাখার জন্য। কিন্তু তারপর বুঝি এতে কেবল একে অন্যের উপর বোঝা 🅘হয়ে থাকব আমরা। তাই সরে আসার সিদ্ধান্ত নিই।'
এদিন আশিস তা🧸ঁর দ্বিতীয় বিয়ে করার কারণ জানান। পাশাপাশি প্রকাশ্যে আনেন কীভাবে তাঁর সঙ্গে রূপালির আলাপ হয়েছিল। অভিনেতার কথায়, 'আমি কারও সঙ্গে থাকতে চেয়েছিলাম। কারও হাত ধরতে চেয়েছিলাম। এই ভাবনাটা আজ নয়, ২ বছর আগেই ⭕এসেছিল। আমার যখন ৫৫ বছর বয়স তখন আমি সিদ্ধান্ত নিই যে আমি আবার বিয়ে করব। তখনই আমার আলাপ হয় রূপালির সঙ্গে। আমরা কথা বলা শুরু করি। তারপর গত বছর আমরা দেখা করি। তখনই আমরা একে অন্যের প্রতি আকর্ষিত হই এবং মনে হয় যে বাকি জীবন আমরা স্বামী স্ত্রী হিসেবে কাটাতে পারি।'
আশিস তাঁর বক্তব্যে আরও বলেন, 'আমার বয়স ৫৭ ওর ৫০ কিন্তু♐ তাতে কী? বয়সে কী আসে যায় বন্ধু? জীবনে সবাই খুশি হতে পারে বয়স যাই হোক না কেন। তাই সম্মানের সঙ্গে জীবনে এগিয়ে যাওয়াই ভালো।'