৬০ বছর বয়সে নতুন ইনিংস শুরু করেন অভিনেতা আশিস বিদ্যার্থী। বৃহস্পতিবার জামাইষষ্ঠীর দিন কলকাতায় দ্বিতীয় বিয়ে সেরে ফেললেন জাতীয় পুরস্কার জয়ী অভিনেতা। পাত্রী, রূপালি বড়ুয়া অসমের মেয়ে, কলকাতার এক নামী ফ্যাশন হাউসে কর্মরতা। এদিন ঘಌনিষ্ঠ মানুষজনের উপস্থিতিতেಞ কোর্ট ম্যারেজ সারেন আশিস ও রূপালি।
এর আগে কলকাতার জামাই ছিলেন আশিস। অভিনেত্রী-গায়িকা রাজোশি বড়ুয়াকে বিয়ে করেছিলেন তিনি। শকুন্তলা বড়ুয়ার কন্যা রাজোশি, তবে সেই𒉰 বিয়ে টেকেনি। এবার নতুন করে 💧গাঁটছড়া বাঁধলেন আশিস। বিয়ের পর্ব সেরে উচ্ছ্বসিত এই জুটি। রূপালির সঙ্গে প্রেমের কথা গোপন রেখেছিলেন আশিস, বিয়ে করে চমকে দিলেন সকলকে।
এই বিয়ে যেন ‘টু স্টেট’-এর বাস্তব প্রতিচ্ছবি। কেরলের ট্রাডিশন্যাল মুন্ডু বা ধুতি আর𒁏 কুর্তায় দেখা মিলল বরের। সঙ্গে গলায় ঝুলল অসমের ‘গামোছা’। অন্যদিকে সোনালি পাড়ের সাদা মেঘলা চাদরে সাজলেন রূপালি। পাড়ের উপর নজরকাড়া ময়ূরের নকশা। পোশাক অসমিয় হলেও সঙ্গে রইল কেরলের বিখ্যাত টেম্পল জুয়েলারি। চুল খোঁপা করে বাঁধা, 🧜হালকা মেক আপে ঝলমল করলেন আশিসের অর্ধাঙ্গিনী।
বিয়ের পর্ব সেরে ই-ট𒁃াইমসকে অভিনেতা জানান, ‘জীবনের এই পর্যায়ে রূপꦿালির সঙ্গে বিয়েটা একটা অসাধারণ অনুভূতি। সকালে আমাদের কোর্ট ম্যারেজ হয়েছে, তারপর সন্ধ্যায় গেট-টুগেদার।’ কিন্তু কীভাবে রূপালির সঙ্গে আলাপ তাঁর? হাসিমুখে জবাব দিলেন, ‘সেটা লম্বা গল্প, তা না হয় পরে একদিন শোনাব’। সবটাই ভাগ্যের খেল তা জানিয়ে দিলেন নবদম্পতি। অল্পদিনের পরিচয় তাঁদের তাও স্পষ্ট করলেন।
নেতিবাচক চরিত্র পর্দায় ফুটিয়ে তুলতে ওস্তাদ আশিস বিদ্যার্থী। কেমনভাবে আশিসের প্রেমে পড়লেন রূপালি? তাঁর সটান জবাব, ‘উনি একজন ভালো মনের মানুষ, ওঁনার সঙ্গ পাওয়াটা সৌভ🌊াগ্যের’।

অসমের মেয়েকে বিয়ে করলেন আশিস
১৯৮৬ সালে অভিনয় সফর শুরু করেন আশিস বিদ্যা༒র্থী। গত চার দশকে ৩০০-র বেশি ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি। কাজ করেছেন ১১টি ভারতীয় ভাষার ছবিতে। ‘দ্রোহকাল’ ছবির জন্য সেরা পার্শ্ব অভিনেতা হিসাবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছিলেন তিনি। তাঁর নতুন সফরের জন্য শুভেচ্ছায় ভরিয়ে দিচ্ছে꧙ন ভক্তরা।