আশিস বিদ্যার্থী এবং তাঁর প্রথম স্ত্রী পিলু বিদ্যার্থী তাঁদের ২২ বছরের বৈবাহিক জীবনকে বিদায় জানিয়েছেন বেশ কিছু বছর আগেই। তাঁদের ডিভোর্সের পর এই বছর ৫৭ বছর বয়সে এসে ফের বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলেন অভিনেতা। এবার তিনি রেজিস্ট্রি ম্যারেজ সারলেন ৫০ বছর বয়সী এক অহমিয়া ফ্যাশন ডিজাইনারের সঙ্গে। নাম রূপালি বড়ুয়া। আর এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই চরম কটাক্💝ষের শিকার হয়েছেন অভিনেতা। তাঁকে নিয়ে চলেছে চরম ট্রোল। মশকরা। তবে এটাই প্রথমবার নয় যখন বা যেখানে কোনও ♈সেলেবকে দ্বিতীয়বার বিয়ের পিঁড়িতে বসার জন্য কথা শুনতে হল!
এর আগে শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়ের ব্যক্🐭তি জীবন নিয়ে কম কাটাছেঁড়া হয়েছে! তাঁর তিনটি বিয়ের জন্য🧜 কতই না সমালোচনা সহ্য করতে হয়। রাজীব কুমারের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর ভালোবেসে আরও দুটি বিয়ে করেন এই টলি নায়িকা। কিন্তু সেগুলো কোনওটাই টেকেনি। ফলস্বরূপ সমস্ত কটাক্ষ উড়ে এসেছিল তাঁর দিকেই। এই তালিকা থেকে বাদ যান না রূপাঞ্জনা মিত্র, দুর্নিবার সাহা, প্রমুখেরা।
কিন্তু কেউ যদ🐎ি একবারের বেশি বিয়ে করেন, নিজের জীবনকে সেকেন্ড চান্স দিতে চান ক্ষতি কোথায়? এই প্রশ্নের উত্তরে শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায় আনন্দবাজারকে জানান, 'আমি আমার শর্তেই বাঁচি। যাঁদের হাতে অনেক সময় তাঁরাই অন্যের জীবন নিয়ে চর্চা করেন। যে মানুষটা আজ বিয়ে করেছে বলে তাঁকে কটাক্ষ করা হচ্ছে তাঁর খারাপ সময়ে কি কেউ তাঁর পাশে ছিল? উনি ভালো থাকতে চেয়েছেন, এখানে অন্যায়ের কিছু নেই। আমাদের প্রশংসা করা উচিত যে ৫৭ বছর বয়সে এসেও উনি এই সাহসটা দেখিয়েছেন।'
একই মত রূপাঞ্জনার। তাঁর প্রথম বিয়ে ভাঙার পর বর্তমানে তিনি তাঁর থেকে ছয় বছরের ছোট এক ব্যক্তির সঙ্গে আছেন। তিনি আশিস বিদ্যার্থীর দ্বিতীয় বিয়ে প্রসঙ্গে বলেন, '♑এসবে বেশি গুরত্ব দেওয়ার প্রয়োজন নেই। এটা তাঁর জীবন, তিনি তাঁর মতো করে ভাবছেন। আমার সঙ্গে আশিস বাবুর একবার সাক্ষাৎ হযꦑ়েছিল। খুব ভালো মানুষ। উনি ভালো থাকুন। আমিও যখন আমার সম্পর্কের কথা ঘোষণা করি তখনও আমায় অনেকেই অনেক কথা বলেছিলেন। এখন তাঁরাই আবার উল্টো সুরে ভালো কথা বলেন। ফলে এসবকে গুরুত্ব না দিয়ে আমি আশিস বাবুকে নতুন জীবনের জন্য শুভেচ্ছা জানালাম।'
প্রসঙ্গত আশিস বিদ্যার্থী নিজেই এই গোটা ট্রোলের বিরুদ্ধে কিছুদিন আগে মুখ খোলেন। বলেন, ‘দিন শেষে আমরা সবাই কিন্তু খুশি থাকতে চাই। আর এই খুশির জন্য আজ থেকে ২২ বছর আগে আমরা একে অন্যের হাত ধরেছিলাম। বিয়ে করেছিলাম। আমাদের জীবনে আমাদের সন্তান অর্থ আসে। তারও আজ বয়স ২২। কিন্তু এত সুন্দর একটা সময় কাটানোর পর আমি আর পিলু ক্রমশ বুঝতে পারছিলাম যে আমরা আর ভালো নেই। বরং আমরা আমাদের ভবিষ্যতটা অনেকটাই আলাদা ভাবে দেখি। যদিও আমরা দুজনেই আপ্রাণ চেষ্টা করেছিলাম এই বিয়েটা টিকিয়ে রা꧒খার জন্য। কিন্তু তারপর বুঝি ܫএতে কেবল একে অন্যের উপর বোঝা হয়ে থাকব আমরা। তাই সরে আসার সিদ্ধান্ত নিই।’