ইডির হেফাজতে বসে প্রথম সরকারি নির্দেশ পাঠালেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। আর দিল্লির প্রতি কেজরিওয়ালের সেই 'টান' দেখে আপ্লুত হয়ে গিয়েছেন বলে দাবি করলেন অতিশি। দিল্লির মন্ত্রী তথা আম আদমি পার্টির (আপ) নেতা দ🙈াবি করেন যে কেজরিওয়ালের নির্দেশের কপিটা যখন তিনি নিজের হা♔ত পান, তখন তিনি কেঁদে ফেলেন। চোখে জল চলে আসে। আর ভাবতে থাকেন যে এমন কোনও ব্যক্তি কীভাবে থাকতে পারেন, যিনি ইডির হেফাজতে থেকেও নিজের কষ্টের পরোয়া না করে দিল্লিবাসীর ‘ছোট-ছোট’ সমস্যা সমাধানের কথা চিন্তা করে যাচ্ছেন।
রবিবার সাংবাদিক বৈঠকে অতিশি বলেন, ‘কাল যখন কেজরিওয়ালের নির্দেশের কাগজটা আমার কাছে এসে পৌঁছায়, তখন আমার চোখে জল চলে আসে। আমি শুধু ভাবছি যে এমন কোন ব্যক্তি আছেন, যিনি এরকম প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও নিজের কথা না ভেবে দিল্লিবাসীর কথা ভাবছেন। (তিনি সেই নির্দেশিকা পাঠাচ্ছেন), যখন তাঁকে গ্রে🙈ফতার করে নেওয়া হয়েছে, তাঁকে জেলে রাখা হয়েছে, কবে জেল থেকে মুক্তি পাবেন, সেটা জানেন না। তারপরও এমন কোন ব্যক্তি আছেন, যিনি নিজের এত বড় কষ্টের তোয়াক্কা না করে জল, নিকাশির মতো দিল্লিবাসীর ছোট-ছোট সমস্যার কথা ভাবছেন। এরকম ব্যক্তি স্রেফ একজনই হতে পারেন। তিনি হলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল।’
তিনি দাবি করেন যে দিল্লির দু'কোটি মানুষকে কেজরিওয়াল নেহাত♊ই ভোটার হিসেবে বিবেচনা করেন না কেজরিওয়াল। তিনি নিজেকে দিল্লির মানুষের ভাই, দিল্লির মানুষের বাবা হিসেবে বিবেচনা করেন। দিল্লির প্রত্যেক মানুষ হলেন তাঁর পরিবারের সদস্য। গত নয় বছর ধরে এমনভাবে দিল্লির সরকার চালিয়েছেন যে তিনি যেন নিজের পরিবারের দেখভাল করছেন। তাই এরকম চরম বিপদের෴ দিনেও গ্রীষ্মকালে যাতে দিল্লিবাসীর জলের সমস্যা না হয়, তা নিশ্চিত করার জন্য ইডির হেফাজতে বসেই কেজরিওয়াল প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিয়েছেন বলে দাবি করেছেন অতিশি।
কেজরিওয়ালের নির্দেশনামায় কী আছে?
ইডির গ্রেফতারির বিরুদ্ধে দিল্লি হাইকোর্টে যে মামলা দায়ের করেছেন, সেটার জরুরি শুনানির আর্জি খারিজ হয়ে যাওয়ার আবহেই ওই নির্দেশনামায় কেজরিওয়াল বলেছেন, ‘আমি জানতে পেরেছি যে দিল্লির কয়েকটি এলাকায় জল ও নিকাশি ন♏িয়ে খুব সমস্যা হচ্ছে। সেই বিষয়টা নিয়ে আমি চিন্তিত। আমি জেলে আছি বলে মানুষের যেন ন্💎যূনতম সমস্যা না হয়। গ্রীষ্মকালও আসছে।’
তিনি আরও বলেন, 'যেখানে পানীয় জলের সংকট আছে, সেখানে ট্যাঙ্কারের ব্যবস্থা করুন। মুখ্যসচিব-সহ অন্যান্য আধিকারিকদের প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিন, যাতে সাধারণ মানুষকে কোনওরকম সমস্যার মুখে পড়তে না হয়। মানুষের যে যে স🌞মস্যা আছে, সেগুলির দ্রুত সমাধান করতে হবে। প্রয়োজন হলে উপ-রাজ্যপালের সাহায🦄্য নিন। উনিও নিশ্চিতভাবে আপনাদের সহায়তা করবেন।'