যে ঘটনা ঘিরে এই দাঙ্গার সূত্রপাত, সেটি ঘটে গতকাল দুপুর দেড়টা নাগাদ। ডাবলিনের পার্নেল স্কোয়ারে আচমকাই একটি শিশুকন্যা এবং ৪০ বছর বয়ি ব্যক্তিকে ছুরিকাঘাত করে একজন। সেই ঘটনায় একজন মহিলা এবং আরও দুই শিশু জখম হয়। তাদের মধ্যে একজন শিশুর অবস্থা বেশ আশঙ্কাজনক।
ডাবলিনে দাঙ্গা পরিস্থিতি তৈরি হয় গতরাতে
আয়ারল্যান্ডের রাজধানীতে তিন শিশু সহ মোট পাঁচজনকে ছুরি দিয়ে আঘাত করার অভিযোগ উঠল একজন আলজেরিয়ান শরণার্থীর বিরুদ্ধে। এই ঘটনা থেকেই বৃহস্পতিবার দাঙ্গা পরিস্থিতি তৈরি হয় ডাবলিনে। শহরের প্রাণকেন্দ্রে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় একাধিক যানবাহনে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে নাজেহাল হয়। এদিকে আলজেরিয়ান শরণার্থীর সেই হামলার নেপথ্যে সন্ত্রাসবাদী যোগ থাকার কথা এখনও উড়িয়ে দেয়নি পুলিশ। (আরও পড়ুন: ঘুষে বিমান নেওয়ার অভিযোগ, সাসপেন্ড করা হল DGCA-এর বিভাগীয় ডিরেক্টরকে)
জানা যায়, আলজেরিয়ান শরণার্থী পাঁচজনকে ছুরিকাঘাত করার ঘটনা ছড়িয়ে পড়তেই রাস্তায় নামেন শরণার্থী বিরোধী গোষ্ঠীর সদস্যরা। তারা শরণার্থীদের দেশ থেকে বিতাড়িত করার দাবি তুলতে থাকেন। এই আবহে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে শরণার্থী বিরোধী প্রতিবাদীদের। একাধিক গাড়িতে আগুম ধরিয়ে দেওয়া হয়। এই আবহে ডাবলিনে গণপরিবহণ ব্যবস্থা বন্ধ করে দেওয়া হয়। এদিকে অসুস্থ রোগীদের হাসপাতালে যেতে বারণ করা হয়। বিশেষ করে গর্ভাবস্থায় থাকা নারীদের বাড়ি থেকে বের হতে বারণ করা হয়।
ডাবলিনের প্রাণকেন্দ্রে একটি ডাবলডেকার বাসে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। একটি পুলিশের গাড়িতেও আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় এই সময়। সেই ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। এছাড়াও পাশের একটি হোটেলে ভাঙচুর করা হয়। একটি ম্যাকডোনাল্ড রেস্তোঁরাতেও ভাঙচুর করা হয়। এরপর দাঙ্গাবাজরা পাশের একটি দোকানে লুটপাট চালায়। এই আবহে ডাবলিনের পুলিশ কমিশনার ড্রিউ হ্যারিস বলেন, 'পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে ৪০০ জন পুলিশকর্মী নিয়োগ করা হয়েছে। যে সব দৃশ্য সামনে এসেছে, তা লজ্জাজনক। চরম ডানপন্থী মতাদর্শে বিশ্বাসী একদল উন্মাদ গুন্ডা এই ঘটনা ঘটিয়েছে।'