পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরে মার্কিন দূতের সফর নিয়ে তীব্র প্রতিবাদ জানাল ভারত। সেইসঙ্গে ওই মার্কিন দূত যে একাধিকবার পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরকে ‘আজাদ কাশ্মীর’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন এবং সেটা যে দিল্লি ভালোভাবে নিচ্ছে না,🔯 তা আমেরিকাকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।
গত রবিবার পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরে গিয়েছিলেন ইসলামাবাদে নিযুক্ত মার্কিন দূত ডোনাল্ড ব্লোম। ইসলামাবাদে মার্কিন দূতাবাসের তরফে একটি বিবৃতিতে দাবি করা হয়, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও মজবুত করার জন্য পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরে তিনদিনের সফরে গিয়েছিলেন তিনি। মার্কিন দূতাবাসের ওই বিবৃত𒐪িতে পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরকে 'আজাদ কাশ্মীর' হিসেবেও উল্লেখ করা হয়। যা ভারতের অবস্থানের একেবারে পরিপন্থী।
সেই প্রেক্ষিতে সাপ্তাহিক সাংবাদিক বৈঠকে শুক্রবার ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেন, 'পাকিস্ত🉐ান-অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মীরে মার্কিন দূতাবাসের সফর এবং বৈঠক নিয়ে আমাদের যে আপত্তি আছে, তা আমরা আমেরিকাকে জানিয়েছি।' তবে আমেরিকাকে ঠিক কী জানানো হয়েছে, তা বিস্তারিতভাবে বলেননি ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র।
বিষয়টির সঙ্গে অবহিত ভারতীয় আধিকারিকরা জানিয়েছেন, মার্কিন দূত পা𒁃কিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরকে 'আজাদ কাশ্মীর' হিসেবে উল্লেখ করায় তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছে ভারত। পুরো বিষয়টি ♋নিয়ে যে ভারত ক্ষুব্ধ হয়েছে, তাও আমেরিকাকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে ওই ভারতীয় আধিকারিকরা ইঙ্গিত দিয়েছেন। তাঁদের বক্তব্য, এই বিষয়ে ভারতের অবস্থান একেবারে স্পষ্ট। ভারত মনে করে যে বেআইনিভাবে কাশ্মীরের একাংশ দখল করে আছে পাকিস্তান।
অতীতেও আপত্তি ভারতের
তবে এই প্রথম নয়, পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরে মার্কিন প্রতিনিধিদের সফর নিয়ে বরাবর আপত্তি জানিয়ে এসেছে ভারত। গত এপ্রিলে মার্কিন আইনপ্রণেতা ইলহান ওমর পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরে গিয়েছিলেন। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ এবং প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা বিরোধী নেতা ইমরান খানের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। তা নিয়ে তী♌ব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছিল ভারত। নয়াদিল্লি একেবারে কড়া ভাষায় জানিয়েছিল, পাকিস্তান বেআইনিভাবে দখল করে রেখেছে, এমন একটি জায়গায় গিয়ে ভারতের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করেছেন ওই মার্কিন আইনপ্রণেতা।
আরও পড়ুন: ‘সংকীর্ণ রাজনীতি’, PoK🎀-তে যাওয়ায় মার্কিন আইনপ্রণে♋তা ওমরের কড়া নিন্দা ভারতের
নয়াদিল্লির কড়া 🌼অবস্থানের মুখে আমেরিকার তরফে সাফাই দেওয়া হয়েছিল যে ওই আইনপ্রণেতা সরকারি সফরে পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরে যায়নি। ব্যক্তিগত সফরে যাননি মার্কিন আইনপ্রণেতা। সেই সাফাই দেওয়ার মাসছয়েকের মধ্যেই পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরকে ‘আজাদ কাশ্মীর’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন ইসলামাবাদে নিযুক্ত মার্কিন দূত। তা নিয়ে ট𒊎ুইটও করেন।