ঘটনা গ্🎃রেটার নয়ডার 'ইউনিটেক হরাইজেনে'র। সেখানে ৩ জনে মিলে একটি কুকুরকে অপহরণ করতে না পেরে, এক যুবককে অপহরণ করে। এরপর পণ হিসাবে ওই কুুকুরকে তাদের হাতে তুলে দেওয়ার দাবি জানায়।
'ইউনিটেক হরাইজেনে'র বাসিন্দা শুভম প্রতাপ সিং বলছেন, তাঁর দুটি কুকুর রয়েছে। তারমধ্যে ডোগো আর্জেন্টিনোকে ছয় মাস আগে তিনি ১.৫ লাখ টাকা দিয়ে কিনে আনেন। শুভম বলছেন, ওই এলাকারই বাসিন্দা তাঁর ভাই রাহুল। ৩০ বছর বয়সী রাহুল প্রায়ই নিজের ফ্ল্যাটে ডোগো আর্জেন্টিনোকেꦏ নিয়ে যেত। সেখানে আসা যাওয়া ছিল শুভমের বন্ধু বিশাল কুমারের। একদিন ২ সঙ্গী সমেত বিশাল এসে ডোগো আর্জেন্টিনোকে নিয়ে যেতে চায়। বাধ সাধে রাহুল। ধ্বস্তাধ্বস্তির পর রাহুলকে অপহরণ করে বিশালরা। এরপর রাহুলের দাদা শুভমকে ফোন করে বিশালরা। বিশালদের একটাই শর্ত ছিল, যে রাহুলকে তারা ছেড়ে দেবে, তবে তার বদলে ডোগো আর্জেন্টিনোকে দিতে হবে বিশালদের হাতে। যদিও শুভমকে ফোনে বিশালরা নিজেদের পরিচিতি জানায়নি। এরপর ১৪ ডিসেম্বর নয়ডা পুলিশের দ্বারস্থ হন শুভম প্রতাপ সিং। এদিকে, পুলিশের কাছে বিষয়টি খুবই ধোঁয়াশার মতো ছিল যে কেন আচমকা পণ হিসাবে কেউ কুকুরকে চাইবে! কিছুতেই কেসের লক্ষ্য ঠাওর করতে পারছিল না পুলিশ।
পুলিশ তদন্ত শুরু করতেই সন্দেহভাজনরা রাহুলকে ছেড়ে দেয়। ধৃতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে সন্দেহভাজনদের খোঁজে শুরু হয়েছে তল্লাশি। তবে আপাতত. তাদের খোঁজ মেলেনি। মনে করা হচ্ছে, কুকুর বিক্রির কোনও উদ্দেশ্য থাকতে পারে সন্দেহভা♏জনদের। নয়তো কোনও আবেগঘন বিষয় এতে জড়িত থাকতে পারে। এদিকে, শুভম প্রতাপ সিংদের দাবি, দ্রুত যাতে অভিযুক্তরা গ্রেফতার হয়, তার জন্য পুলিশ সচেষ্ট হোক।