পথ দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে ছটফট করছিলেন বাইক আরোহী এক যুবক এবং তাঁর বাবা। তখনও অ্যাম্বুলেন্স এসে পৌঁছয়নি। এমন অবস্থায় দুর্ঘটনাগ্রস্তদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন আরামবাগের তৃণমূল সাংসদ মিতালী বাগ। আহত দুজনকে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করলেন তিনি। রবিবার দুপুরে পুরশুড়া বিডিও অফিসের সামনে রাস্তার উলটোদিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর।
আরও পড়ুন: সংসদে সায়নী–মিতালির যুগলবন্দিতে সরগরম, প্রথম বক্তব্যেই রেল–মেট্রো নিয়ে প্রশ্ন
জানা গিয়েছে, এদিন বাবাকে বাইকে নিয়ে যাচ্ছিলেন সঞ্জু হাজরা নামে ওই যুবক। সেই সময় বিডিও অফিসের সামনের ওই রাস্তায় একটি টোটোর সঙ্গে ওই বাইকের ধাক্কা লাগে। তারফলে বাবা ছেলে দুজনেই বাইক থেকে ছিটকে পড়েন। বেশি আঘাত পান সঞ্জু। ঠিক সেই সময় দলীয় কর্মসূচিতে যাচ্ছিলেন মিতালী বাগ। পুরশুড়ায় তাঁর কর্মসূচি ছিল। সেই পথেই দুর্ঘটনার খবর পান সাংসদ। তখন তিনি চালককে গাড়ি ঘুরিয়ে ঘটনাস্থলে যেতে বলেন। সেখানে গিয়ে সাংসদ দেখতে পান রাস্তায় প্রচুর রক্ত। আহতদের শরীর থেকেও রক্তক্ষরণ হচ্ছিল।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে তিনি জানতে পারেন অ্যাম্বুলেন্সে খবর দেওয়া হলেও সেটি এসে পৌঁছয়নি। তখন মিতালী বাগ নিজের গাড়িতে করে আহতদের হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করার উদ্যোগ নেন। পরে অবশ্য দলীয় কর্মীরা এগিয়ে আসেন। তাঁরাই নিজেদের গাড়িতে করে আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে সেখানে ভর্তির ব্যবস্থা করেন। আহতদের সঙ্গে যান সাংসদের ব্যক্তিগত সচিব। মিতালী বাগ বলেন, এত রক্ত দেখে তিনি দ্রুত আহতদের হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করতে বলেন। তিনি জানান, কর্মসূচিতে যাওয়ার পথে তিনি দুর্ঘটনার বিষয়ে জানতে পেরে সেখানে পৌঁছন। এরপর সেখানে অ্যাম্বুলেন্স এসে না পৌঁছনয় প্রথমে নিজের গাড়িতে করে আহতদের হাসপাতালে পাঠানোর কথা বলেন। পরে দলীয় কর্মীরা নিজেদের গাড়িতে করে তাঁদের নিয়ে যান।
তাঁর কথায়, কর্মসূচিতে যেতে কিছুটা দেরি হলেও সেটা কোনওভাবে ম্যানেজ করা যাবে। কিন্তু, একজন মানুষের জীবন বাঁচানোর ক্ষেত্রে কোনওভাবেই দেরি করা যাবে না। তিনি মনে করেন, একজন জনপ্রতিনিধির কাজ হল বিপদে জনতার পাশে দাঁড়ানো। সেই অনুভূতি থেকেই তিনি কর্তব্য পালন করেছেন।