বুধবার বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ৫৪ পাতার রিপোর্ট জমা দিয়েছে। ওই রিপোর্টে তদন্তের অগ্রগতির বিষয়টি উল্লেখিত রয়েছে বলে জানান সিবিআইয়ের বিশেষ তদন্তকারী দলের প্রধান অশ্বিন শেণভি।
তদন্তের অগ্রগতির রিপোর্ট দিল সিবিআই। প্রতীকি ছবি
প্রাথমিকে নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে গত বছর সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তারপরেই তোলপাড় পড়ে গিয়েছিল রাজ্য রাজনীতিতে। সেই ঘটনায় তদন্ত নেমে একের পর এক হেভিওয়েট নেতা, আধিকারিকদের গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তবে তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে বারবার ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। এই অবস্থায় প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্ত কতটা এগিয়েছে? তা নিয়ে বিচারপতির কাছে রিপোর্ট জমা দিল সিবিআই।
বুধবার বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ৫৪ পাতার রিপোর্ট জমা দিয়েছে। ওই রিপোর্টে তদন্তের অগ্রগতির বিষয়টি উল্লেখিত রয়েছে বলে জানান সিবিআইয়ের বিশেষ তদন্তকারী দলের প্রধান অশ্বিন শেণভি।সিবিআইয়ের তরফে যে রিপোর্ট জমা করা হয়েছে, তাতে অতিরিক্ত প্যানেল এবং ওএমআর শিটের বিষয়ে তদন্তের অগ্রগতির কথা উল্লেখ করা রয়েছে। সিবিআইয়ের দেওয়া সেই রিপোর্ট খতিয়ে দেখবেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তারপরে তিনি এ বিষয়ে পরবর্তী নির্দেশ দিতে পারেন। আগামী শুক্রবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি। ওই দিন অশ্বিন শেণভিকে হাজির থাকতে বলেছে আদালত। সেক্ষেত্রে তাঁকে প্রশ্ন করতে পারেন বিচারপতি।
উল্লেখ্য, প্রাথমিকে নিয়োগে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। সেই সংক্রান্ত মামলায় গত বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। হাইকোর্টের এই নির্দেশের পরেই একের পর এক একাধিক নেতা মন্ত্রী থেকে শুরু করে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের বেশ কয়েকজন আধিকারিকদকের এই দুর্নীতির সঙ্গে যোগসূত্র খুঁজে পায় সিবিআই এরপর তাদের গ্রেফতার করে। তবে সিবিআইয়ের তদন্ত নিয়ে সন্তুষ্ট ছিলেন না বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। এর আগে গত ১৭ অগস্ট তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে মুখ বন্ধ করে রিপোর্ট জমা দিয়েছিল সিবিআই। তবে তাতে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন বিচারপতি। তিনি মন্তব্য করেছিলেন, এক বছর কেটে যাওয়ার পরেও তদন্তের অগ্রগতি সেভাবে হচ্ছে না। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে সিবিআইয়ের তদন্ত নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করতে শোনা যায় গিয়েছে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়কে।