অনুব্রত মণ্ডল সিবিআইয়ের হাতে ধরা পড়ার পর ভুয়ো ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের হদিশ সামনে নিয়ে আসা হয়েছে। এখন চন্দন মণ💙্ডল ওরফে সৎ রঞ্জন গ্রেফতার হতে তার ভুয়ো ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারীর নামে ভুয়ো ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থাকার অভিযোগ উঠেছে। এই নিয়ে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের চিঠি পর্যন্ত পেয়েছেন তিনি। যা নিয়ে এখন রাজ্য–রাজনীতি সরগরম হয়ে উঠেছে।
বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে? কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারীর নামে একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে। সেটা পশ্চিম মেদিনীপুরে। যদিও বর্ষীয়൲ান এই সাংসদ এটা অস্বীকার করেছেন। তিন♏ি দাবি করেন, ‘আমি কাঁথির বাসিন্দা হয়ে পশ্চিম মেদিনীপুরে ব্য়াঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলার প্রশ্নই ওঠে না। এর পিছনে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র আছে।’ তাই তিনি বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনকে ইমেল করে অভিযোগ জানিয়েছেন। এমনকী ব্রাঞ্চ ম্যানেজারকে নোটিশ পাঠিয়েছেন সাংসদ।
কী তথ্য পাওয়া যাচ্ছে? পশ্চিম মেদিনীপুরের এক রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক, মাছনা ব্রাঞ্চ✃ে শিশির অধিকারীর নামে অ্যাকাউন্ট💃 খোলা হয়েছে। সেখানের অ্যাকাউন্ট নম্বর ১২০৯০১০০০০ ৫৩০৪৫। এমনকী সাংসদের ছবি, স্বাক্ষর, নথি ব্যবহার করেই অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে বলে অভিযোগ। অর্থাৎ ব্যাঙ্কের কেওয়াইসি আছে। এই ব্য🧸াঙ্ক থেকে অ্যাকাউন্ট নিয়ে চিঠি পৌঁছয় সাংসদের কার্যালয়ে। তখন থেকেই তোলপাড় শুরু হয়েছে। গ্রাহকের অনুপস্থিতিতে তাঁর🐽 স্বাক্ষর–নথি ব্যবহার করা হচ্ছে। তাই ব্যাঙ্কের কাজকর্ম নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন সাংসদ।
তৃণমূল–বিজেপি কী বলছে? তৃণমূল কংগ্রেসের সহ–সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার বিজেপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ করেছেন। তিনি বলেন, ‘ব্য়াঙ্ক কেন্দ্রীয় সরকারের। অর্থমন্ত্রকও কেন্দ্রের। শিশিরবাবুকে ব্ল্যাকমেল করতে এই কাণ্ড ঘটিয়েছে বিজেপি বলে মনে হ𒉰চ্ছে।’ পালটা জবাব দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য। তাঁর দাবি, ‘শিশিরবাবু প্রবীণ নেতা। তাঁর ছেলে বিজেপিতে এসে তৃণমূল কংগ্রেসকে কড়া চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ছেন। বদলা নিতেই শিশিরবাবুকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে তৃণমূল কংগ্রেস। মুকুল র🍨ায়, অর্জুন সিং যখন বিজেপিতে ছিলেন, তাঁদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস।’
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থ♊েকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক //hti🅷pad.onelink.me/277p/p7me4aup