এবার নিখোঁজ হকারের মৃতদেহ মিলল ঝিলে। সোমবার 𓆉রাত থেকে ওই হকার নিখোঁজ ছিলেন। ওই হকারের মৃতদেহ আজ শুক্রবার উদ্ধার হল তাঁরই বাড়ির পাশের ঝিল থেকে। এই ঘটনায় রীতিমতো আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। এটা খুন নাকি আত্মহত্যা? এই প্রশ্ন এখন উঠতে শুরু করেছে। ওই হকারকে অপহরণ করা হয়েছিল বলে সূত্রের খবর। তারপর খুন করে ঝিলে ফেলে রেখে গিয়েছে আততায়ীরা। হকারি করে সংসার চালাতেন তিনি। আজ এই খবর প্রকাশ্যে আস꧅ায় পরিবারের মাথায় বাজ ভেঙে পড়েছে। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। তদন্ত শুরু হয়েছে।
এদিকে হকারের পরিবারের সদস্যদের দাবি, সোমবার রাতে তাঁকে ফোন করা হলে হকার সোহন সিং তখন ফোনেই বলতে থাকে, ‘আমাকে মেরো না।’ অর্থাৎ কেউ বা কারা তাঁকে অপহরণ করে অত্যাচার করছিল। তার জেরেই সোহন এমন আর্তনাদ করছিল। সোহনের সঙ্গে এক বন্ধুর মদ খাওয়া নিয়ে প্রায়ই ঝামেলা হতো। সেখান থেকেই এই ঘটনার সূত্রপাত কিনা বুঝতে পারছেন না তাঁরা। পুলিশ তদন্ত করে খুনিদের শাস্তি দিক চাইছেন পরিবারের সদস্যরা। পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে 🎃পাঠিয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে🌟 মৃত্যু কারণ জানা যাবে।
আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় নথি পেশ করতে ব্যর্থ, আদালতে চরম ভর্ৎসনার মুখে সিবিআই
অন্যদিকে হুগলি জেলার উত্তরপাড়া এলাকার মাখলা ২১ নম্বর ওয়ার্ডের ঝিল থেকে উদ্ধার হয় নিখোঁজ হকার সোহন সিংয়ের (২৪) দেহ। পরিবার সূত্রে খবর, গত সোমবার রাত থেকে সোহন সিং নিখোঁজ ছিলেন। লোকাল ট্রেনে হকারি করত সোহন। আর সেভাবেই সংসার চালাত সোহন। ওই যুবকের পরিবার উত্তরপাড়া থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেছিল। যার পর থেকেই তদন্ত শুরু করেছিল পুলিশ। কিন্তু কোনও সূত্র মিলছিল না। তারপর আজ বাড়ির সামনের একটি ঝিল থেকে উদ্ধার হয🌜় হকারের দেহܫ। যুবকের দিদি কমলিকা দাসের অভিযোগ, ‘ভাইয়ের সঙ্গে এক যুবকের বন্ধুত্ব ছিল। প্রায় রোজই মদ খাওয়া নিয়ে অশান্তি চলত দু’জনের।’
এই হকারের মৃত্যুর ঘটনা শোকের ছায়া নেমে এসেছে পরিবারে। অন্যান্য হকাররাও সোহন সিংয়ের প্রশংসা করেছেন। তাঁর কেউ শত্রু থাকতে পারে তা তাঁরা ভাবতেই পারছেন না। এই ঘটনার কথা শুনে এবং মৃতদেহ উদ্ধারের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান ২১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তথা উত্তরপাড়া পুরসভার উপ পুরপ্রধান খোকন মণ্ডল। তিনি জানান, এটা খুন বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে পুলিশ তদন্ত করে সবটা সামনে আনবে। খেটে খাওয়া মানুষের সঙ্গে এমন ঘটনা মেনে নেওয়া হবে না। পুলিশ▨ের প্রাথমিক অনুমান জলে ডুবে মৃত্যু হয়েছে সোহন সিংয়𒅌ের। তবুও ময়নাতদন্ত এবং পুলিশের উপর ভরসা রাখতে হবে।