উচ্চ প্রাথমিকে কর্মশিক্ষায় নিয়োগের আগেই তৈরি হল অনিশ্চয়তার মেঘ। বিদ্যালয়ে কর্মশিক্ষা ও শারীরশিক্ষার শিক্ষক নিয়োগে আবারও অন্তꦬর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। আজ, শুক্রবার আবার 🅰এই মামলার শুনানিতে কর্মশিক্ষা–শারীরশিক্ষার শূন্যপদে নিয়োগে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ শূন্যপদে চাকরিতে স্থগিতাদেশের মেয়াদ বাড়ল বলে মনে করা হচ্ছে।
ঠিক কী বলেছেন বিচারপতি? আজ, শুক্রবার❀ কলকাতা হাইকোর্টে এই মামলার শুনানি ছিল। বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু বলেন, ‘স্কুল সার্ভিস কমিশন জানে, তারা স্বচ্ছ নয়। ওয়েটিং লিস্ট কীভাবে তৈরি হয়েছিল? এমন শিক্ষক পাঠাচ্ছেন যার জন্য পড়ুয়াদের হেনস্থা হতে হচ্ছে।’ এরপরই উচ্চ প্রাথমিকে কর্মশিক্ষায় ৭৫০টি শূন্যপদে নিয়োগে পরবর্তী শুনানি পর্যন্ত স্থগিতাদেশ দেন তিনি। তবে স্কুল সার্ভিস কমিশনের আইনজীবী আদালতকে জানিয়ে দেন, বরখাস্ত হওয়া শিক্ষকদের হয়ে আর সওয়াল করবে না তাঁরা।
মামলার বিষয়টি ঠিক কী? আদালত সূত্রে খবর, ২০১৬ সালে কর্মশিক্ষা–শারীরশিক্ষক পদে নিয়োগের জন্য নেওয়া পরী🍬ক্ষার ভিত্তিতে নিয়োগের উদ্যোগ নেয় স্কুল সার্ভিস কমিশন। ౠঅতিরিক্ত ৭৫০ শূন্যপদ তৈরি করে নিয়োগের ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু এক চাকরিপ্রা🎃র্থীর মামলার ভিত্তিতে স্থগিতাদেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। দু’দিনের জন্য সেই স্থগিতাদেশ কার্যকর ছিল। আজ, শুক্রবার সেই মামলা ফের আদালতে উঠলে বিচারপতির প্রশ্নের মুখে পিছু হঠে স্কুল সার্ভিস কমিশন।
ঠিক কী হয় সওয়াল–জবাবে? আজ মামলাকারীদের আইনজীব🐼ী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য আদালতে দাবি করেন, অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি করার অধিকার রাজ্যের নেই। পাল্টা অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় সওয়াল করেন, প্রয়োজনীয় পরিস্থিতি তৈরি হলে র💟াজ্য অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি করতে পারে। এই শুনানি চলাকালীন ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু বলেন, ‘আপনাদের যা ইচ্ছা করুন, আমি শুধু ছাত্রদের শিক্ষা নিয়ে চিন্তিত।’ তখনই বামফ্রন্ট জমানায় শিক্ষাব্যবস্থার কথা তুলে ধরেন অ্যাডভোকেট জেনারেল বলেন, ‘একটা সরকার ইংরেজি বন্ধ করে দিয়েছিল, এটা খুব বড় ভুল ছিল।’ সহমত পোষণ করে বিচারপতি বলেন, ‘হ্যাঁ, এটা বড় ভুল।’ শূন্যপদ নিয়ে রাজ্যের অবস্থান জানতে চেয়ে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যকে। আগামী ২৮ নভেম্বরের মধ্যে হলফনামা দেওয়ার নির্দেশ। ৩০ নভেম্বর পরবর্তী শুনানি।