আজ, শনিবার দম্পতির গলাকাটা মৃতদেহ উদ্ধার হওয়ার ঘটনায় ব্যাপক আলোড়ন পড়ে গিয়েছে আসানসোলের কুলটিতে। আসানসোলের কুলটির থানার পুলিশ এই মৃতদেহগুলি উদ্ধার করেছে। আজ শনিবার সকালে স্থানীয় আলডি গ্রামের ঘটনায় শিউরে উঠেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। আত্মীয়স্বজন ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে পুলিশ জানতে পেরেছে বাজারে প্রচুর ঋণ হয়ে যাওয়াতে🌺ই ওই দম্পতি আত্মহত্যা করেছে। এই ঘটনায় প্রাথমিকভাবে পুলিশ জানতে পেরেছে, প্রথমে ধারালো কোনও অস্ত্র দিয়ে নিজেদের গলা কেটে আত্মহত্যা করতে গিয়েছিলেন তাঁরা। তাতে স্ত্রী মারা গেলেও স্বামী নিজের গলা কাটতে পারেননি। তখন সে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন। পুলিশ গিয়ে মৃতদেহ দুটি উদ্ধার করে আসানসোল জেলা হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে।
এদিকে ট্যাংরা কাণ্ডের ছায়া🍌 দেখছেন অনেকে এই ঘটনায়। গলার নলি কেটে রক্তাক্ত অবস্থায় মেঝেতে পড়ে আছে দেহ। আজ সকালে বাবা–মায়ের ঘরের দরজা খুলেই চমকে গেল তিন মেয়ে। মায়ের দেহ মেঝেতে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। আর বাবার ঝুলন্ত দেহ দেখা যাচ্ছে। আজ, শনিবার সকালে এই ঘটনায় শিউরে উঠেছেন আসানসোলে কুলটির আলডি গ্রামের বাসিন্দারা। পুলিশের অনুমান, নিজের স্ত্রীকে খুন করে আত্মঘাতী হয়েছেন স্বামী। তবে কেন এমন ঘটনা ঘটল? প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে পুলিশ। আর এই ঘটনায় হতবাক তাঁদের সন্তানরা। কসবার হালতুতেও কদিন আগে এমন ঘটনা ঘটেছিল বলে চর্চা করছেন গ্রামবাসীরা।
আরও পড়ুন: মৃত্যুর তিন মাস পর মামলাকারীর মামলা দায়ের কলকাতা হাইকোর্টে, বিস্মিত বিচারপতি
অন্যদিকে স্থানীয় সূত্রে খবর, বিপুল টাকা বাজারে ঋণ হয়ে গিয়েছিল তাঁদের। সংসার চালাতে গিয়েই ওই টাকা ঋণ হয়। যা সঠিক সময়ে শোধ করতে না পারায় একাধিকবার অপমানিত হতে হয়েছে তাঁদের। এভাবে সকলের সামনে অপমানিত হওয়ার ঘটনা মেনে নিতে না পারায় সম্ভবত মানসিক অবসাদে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন ওই দম্পতি। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত ব্যক্তির নাম রূপকুমার বাউরি(৪০) এবং মালা বাউরি (৩৫)। দু’জনেরই গলায় ক্ষত রয়েছে। কুলটির আলডি গ্রামের বাসিন্দা দম্প💙তি। দীর্ঘদিন এই গ্রামেই তাঁরা থাকতেন। তাঁদের চার মেয়েও আছে। একজন বিবাহিত। বাকি তিনজন অবিবাহিত। রূপকুমার রাজমিস্ত্রি। আর মালা পরিচারি🏅কার কাজ করতেন।
এছাড়া পুলিশ তদন্তে নেমে তাদের প্রাথমিক অনুমান, স্ত্রীর গলার নলি কেটে খুন করে আত্মঘাতী হন স্বামী। স্ত্রী মালার গলার নলি কাটার পর নিজের গলাতেও ধারাল কিছু দিয়ে কাটার চেষ্টা করেছিলেন রূপকুমার। কিন্তু তাতে সফল না হওয়ায় আত্মহত্যা করেন রূপকুমার। সংসারে অভাব অনটন থেকেই অশান্তি লেগেছিল বলে পুলিশকে জানিয়েছেন প্রতিবেশীরা। অনেক জায়গায় ঋণ ছিল তাঁদের। প্রায়ই ঋণের তাগাদা দিতে আসত কারবারিরা। পাশের বিয়েবাড়িতে অনেক꧙ রাত পর্যন্ত সাউন্ড বক্স বাজছিল বলেই কোনও সাড়াশব্দ মেলেনি আত্মহত্যার। ময়নাতদন্তের পরই সব বোঝা যাবে। বাবা–মা শুক্রবার রাতে ঝগড়াঝাটি করেছেন কিনা সཧেটা সন্তানদের জানা নেই।