প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় অনিয়মের অভিযোগ তুলে কোচবিহারের দিনহাটায় একেবারে ধুন্ধুমার কাণ্ড। ব্লক অফিসের ভেতরে ঢুকে সরকারি আধি💫কারিককে শাসিয়ে গেলেন তৃণমূলের নেতারা। একেবারে আঙুল উঁচিয়ে তারা দাবি করেন, গরীব মানুষকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। তারা আমাদের কাছে আসছেন। আর আমরা কোনও জবাব দিতে পারছি না। এরপরই বিডিও অফিসের ব্লক ইনফরমেশন অফিসারের ঘরে তুমুল ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ। ফোন, আসবাবপত্র সব ভেঙে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। এদিকে তাৎপর্যপূর্ণভাবে দিনহাটা ১ নম্বর ব্লক পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মফিজুল হক একেবারে আধিকারিকদের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে টাকা লেনদেনেরও অভিযোগ তোলেন।
এদিকে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সরাসরি সরকারি আধিকারিকদের দিকে আঙুল তোলে♔ন। তিনি দাবি করেন, আমি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি। গরীব মানুষ আমার কাছে ঘরের জন্য আসছেন। ৫০০ কোটার মধ্যে ৩ হাজার এন্ট্রি হয়ে গিয়েছে। গরিব মানুষের ভোটে জিতে এখানে এসেছি। এদিকে জিপি থেকে টাকা খেয়ে এসব করছেন আপনারা?…
এভাবেই ব্লক আধিকারিকদের রীতিমতো শ♐াসাতে থাকেন তারা। কিছুক্ষণ পরেই ব্লক ইনফরম্যাটিক্স অফিসার সুকল্যাণ ভট্টাচার্যের দফতরে ভাঙচুর চালানো হয় বলে অভিযোগ। চরম আতঙ্ক ছড়ায় সরকারি আধিকারিকদের মধ্যে।
পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য সামসুল হকের দাবি, গ্রামে টিকতে পারছি না। গ্রামের লোকজন আমাদের তাড়া করছে। আর ব্লক অফিসে টাকা নিচ্ছে আর নাম এন্ট্রি করছে। গ্রামের গরিব মানুষ ঘর পাচ্ছ🤡ে না। ব্লক অফিসের স্টাফরা টাকা নিয়ে এসব করছে🌜। তারই তদন্ত করব আমরা।
এদিকে পঞ্চায়েত ভোটের আগে কার্যত আবাস যোজনার দুর্নীতির যাবতীয় দায় সরক༺ারি আধিকারিকদের উপর চাপিয়ে দেন তৃণমূল নেতৃত্ব। অফিসের কাগজপত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে দেওয়া হয়। চরম আতঙ্কিত সরকারি কর্মী আধিকারিকরা। তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, সরকারি কর্মী আধিকারিকরা টাকা নিয়ে তালিকায় নাম তুলে দিয়েছে। এদিকে যে গরিব মানুষরা টাকা দিতে পারেননি তাদের নাম তালিকায় ওঠেনি। এদিকে বর্তমানে ঘর না পেয়ে গ্রামের গরিব মানুষ গিয়ে পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যদের ধরছেন। তবে সেই সদস্যদের কাছেও কোনও সদুত্তর নেই।
এদিকে সরকারি অফিসে ঢুকে শাসকদলের নেতাদের এই শাসানিকে কেন্দ্র করে নানা চর্চা শুরু হয়েছে দিনহাটায়। প্রশ্ন উঠছে তবে পাবলিকের রোষ থেকে বাঁচতেই নিশানা ঘুরিয়ে দেওয়ার চ♊েষ্টা করছেন তৃণমূল নেতৃত্ব? তবে এনিয়ে🐻 প্রশাসনের প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HꦏT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক //htipad.onelink.me/277p/p7me4aup