ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যানের জন্য রাজ্য বাজেটে ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এই কাজ দ্রুত করার জন্য সেচমন্ত্রী মানস ভুঁইয়াকে সম্প্রতি পরিদর্শন 🔜করার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যো💛পাধ্যায়। সাংসদ দেব ওরফে দীপক অধিকারীকে সঙ্গে নিয়ে সব জায়গা ঘুরে দেখেন তিনি। অফিসারদের সঙ্গে কথা বলে ঠিক করেন কেমন করে কাজ হবে। কিন্তু এখন জানা যাচ্ছে ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান থেকে বাদ থাকছে আরামবাগ। আর আরামবাগকে বাদ থাকলে বন্যার হাত থেকে নিস্তার পাবে না আরামবাগ–সহ খানাকুলও। তাই এই পরিস্থিতি অনুধাবন করে খানাকুলকে বাঁচাতে ময়দানে নেমে পড়েছেন ‘খানাকুল বাঁচাও কমিটি’র সদস্যরা।
এই কমিটির একটিই মূল দাবি, ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যানে খানাকুলকে অন্তর্ভূক্ত করতে হবে। যদি তা না হয় তাহলে দ্বিতীয় দাবি, আরামবাগ মহকুমা তথা খানাকুলের জন্য পৃথক ভাবে মাস্টারপ্ল্যান গড়ে তুলতে হবে। যাতে বন্যা নিয়ন্ত্রণ করা যায়। খানাকুল ২৪টি গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৭৮টি গ্রাম নিয়ে গঠিত। এখানের মানুষের সবথেকে বড় সমস্যা এলাকার বন্যা। বর্ꦗষাকালে দ্বার💫কেশ্বর, মুণ্ডেশ্বরী এবং রূপনারায়ণের ত্রিফলা আক্রমণে বানভাসী পরিস্থিতি তৈরি হয়। এখন খানাকুলবাসী সিঁদুরে মেঘ দেখছে। কারণ ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান প্রকল্পে খানাকুলকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। এমনকী এই নদীগুলির ড্রেজিংয়ের কথাও ভাবাই হয়নি বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। ২০২৪ সালের বন্যায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয় খানাকুলে।
আরও পড়ুন: বামেদের কয়েক দশকের সমবায় সমিতি জিতে নিল তৃণমূল, কুলতলিতে উড়ল সবুজ আবির
এখানে বারবার দেখা গিয়েছে, হাওড়া জেলাকে সুরক্ষিত রাখতে ডিভিসির ছাড়া বিপুল জল দামোদর দিয়ে না পাঠিয়ে মুণ্ডেশ্বরী নদীতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। আবার নিম্নচাপের জেরে দ্বারকেশ্বর অববাহিকায় প্রবল বৃষ্টিপাত হলে এই নদীতে কোনও জলাধার না থাকায় জল বহন করার ক্ষমতা নদীর থাকে না। তাই খানাকুল ও আরামবাগ বন্যায় ভেসে যায়। আর প্রশাসন সূত্রে খবর, ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান প্রকল্পে রূপনারায়ণ নদীকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এই বিষয়ে খানাকুল বাঁচাও কমিটির পক্ষ থেকে অমিত আঢ্য জানান, বন্যা থেকে বাঁচতে হলে খানাকুল মাস্টারপ্ল্যান দরকার। এই বিষয়ে ওদ্রুত পদক্ষ🌞েপ করা প্রয়োজন।
এখন এই খানাকুল বাঁচাও কমিটির পক্ষ থেকে এইসব দাবি তোলা হচ্ছে। তবে কতটা বাস্তবায়িত হবে তা নিয়ে সন্দিহান সবপক্ষই। কারণ কেন্দ্রীয় সরকার অনেক বছর ঝুলিয়ে রাখার পরও করল না ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান। এখন তা রাজ্য সরকারকে নিজস্ব তহবিল থেকে করতে হচ্ছে। এই বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা সৌমেন দলুই বলেন, ‘আমাদের বসবাস🐟 একেবারে রূপনারায়ণের তীরে। আম♏রা জানি বন্যার সময় কত কষ্ট সহ্য করতে হয়। জীবন কাটাতে হয় প্রতিকূল পরিস্থিতিতে। তাই খানাকুল বিধানসভার মানুষকে বাঁচতে হলে পৃথক মাস্টারপ্ল্যান প্রয়োজন।’