HT Bangla Exclusive: হিন্দু দেবদেবীর ছবি থাকা প্লেটে বিরিয়ানি দেওয়া হচ্ছে? এমনই দাবি করে নেটদুনিয়ায় ভাইরা🌼ল হয়েছে একটি ভিডিয়ো। ভিডিয়োতে উত্তেজিত জনতার অভিযোগ, গুমা রেল স্টেশন সংলগ্ন একটি বিরিয়ানির দোকানে হিন্দু দেবদেবীর ছবি থাকা থালায় খাবার পরিবেশন করা হচ্ছে। দোকানটিকে বয়কট করার ♉দাবি জানায় ওই জনতা। কিন্তু এই ভিডিয়োটির সত্যতা কতটা? আদৌ কি প্লেটটি ওই বিরিয়ানির দোকানের? গোটা ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ের চেষ্টা করল HT বাংলা (Viral Video Fact Check)।
তরুণজ্যোতি তিওয়ারির পোস্ট
ভিডিয়োটি সোমবার রাত আটটা নাগাদ এক্স হ্যান্ডেলে শেয়ার 💎করেছেন বঙ্গ বিজেপির যুব মোর্চার সহ-সভাপতি তরুণজ্যোতি তিওয়ারি। ভিডিয়োটির ক্যাপশনে তিনি লেখেন, হাজি বিরিয়ানি নামে একটি বিরিয়ানির দোকানের ঘটনা এটি। এই প্লেটে বিরিয়ানি খাওয়ার পর সেটি ডাস্টবিনে ফেলে দেওয়া হবে। তিনি আরও লেখেন, কাজটি ‘কে করেছে এবং কেন করেছে সেটা বোঝার জন্য রকেট সায়েন্স বোঝার দরকার নেই।’ বিষয়টি সত্যি হলে পুলিশকে দোকানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানান তিনি।
বিরিয়ানির দোকানের মালিকের বক্তব্য
সেই ভিডিয়ো ও তরুণজ্যোতি তিওয়ারির পোস্টের সূত্র ধরে যোগাযোগ করা হয় গুমার ওই বিরিয়ানির দোকানের সঙ্গে। হাজি বিরিয়ানির মালিক গৌরী সরকার HT বাংলাকে বলেন, ‘গতকালের (ভিডিয়ো💝টি আদতে রবিবারের) ভিডিয়োটা পুরো সাজানো। এই দোকানটার মালিক আমি। মুসলিম একজনকে ভাড়ায় দেওয়া হয়েছে চালানোর জন্য। গতকাল গুমা স্টেশনের কাছে বিজেপির একটি ౠজনসভা হচ্ছিল। সেখান থেকে কিছু লোক হঠাৎই দোকানে এসে হাজির হয়। ওই থালা দেখিয়ে গুজব ছড়ানোর চেষ্টা করে।’
অশান্তির আঁচ পেয়ে থানায় ফোন
গৌরীদেবীর কথায়, তিনি ওই ঘটনার সময় সেখানে ছিলেন। তাঁর দাবি, 'আমাদের দোকানে যে ধরনের থালা ব্যᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚবহার করা হয়, তার সাইজ একটু ছোট আর পিছনে কোনও ছবি প্রিন্ট থাকে না। ওই লোকগুলোর উদ্দেশ্য বুঝে গিয়েছিলাম। সঙ্গে সঙ্গে থানায় ফোন করি। থানা থেকে পুলিশ এসে দোকান বন্ধ করে চাবি নিয়ে নেয়। যে বস্তায় থালাগুলি মজুত ছিল, সেই বস্তা সমেত একজন কারিগরকে ধরে নিয়ে চলে যায়। পরে থানায় সেই বস্তা পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে। দেবদেবীর ছবি ছাপানো কোনও থালাই সেখানে নেই। বুঝতেই পারছেন, ইচ্ছা করে এম꧋ন থালা নিয়ে এসে একদল লোক অশান্তি বাঁধানোর চেষ্টা করছিল।’
মুখ্যমন্ত্রীর প্রসঙ্গ
ঘটনাটি বলতে বলতেই গৌরীদেবী বলেন, ‘উত্তেজিত জনতাদের মধ্যে একজন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও নাম করেছিলেন। লোকটি বলছিলেন, প্লেটের নไিচে যদি মুখ্যমন্ত্রীর ছবি থাকত, তাহলে কি এইভাবে তারা খাবার পরিবেশন করতে পারতেন?’ যদিও এমন কোনও বক্তব্যের রেকর্ডিং ওই ৫৫ সেকেন্ডের ভিডিয়ো ফুটেজে দেখা যায়নি।
অশোকনগর থানার বক্তব্য
অশোকনগর থানার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল HT বাংলা। এসআই চিন্তামণি নস্কর বলেন, গতকাল অর্থাৎ রবিবারের ঘটনাটি আদতে অনিচ্ছাকৃত হয়ে গিয়েছে। এক্ষেত্রে থালা যারা বানায়, তাদের গাফিলতি রয়েছে। তা হলে উত্তেজিত জনতা যে দাবি করছে তা কি সঠিক? থালাটি কি ওই বিরিয়ানির দোকানেরই? এই প্রসঙ্গে তাঁর মন্তব্য, ‘ওরকম ছবি ছাপানো প্লেট দোকানে ছিল না। প্লেটটা বাইরে থেকেই আনা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।’ এই ঘটনায় কি কাউকে গ😼্রেফতার করা হয়েছে? এসআই জানান, ‘প্রাথমিকভাবে কয়েকজনকে আটক করা হলেও পরে সবাইকেই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।’