তখন ✃রাত হয়েছে। হঠাৎ সাইকেল নিয়ে থানায় হাজির জঙ্গিপুরের পুলিশ সুপার। থানায় কর্তব্যরত পুলিশকর্মীরা এভাবে পুলিশ সুপারকে দেখে চক্ষু চড়কগাছ। পুলিশকর্মীরা হতভম্ব হয়ে চোখ রগড়াতে ব্যস্ত। সত্যি 🀅দেখছেন কিনা, নিজের চোখকেই বিশ্বাস করতে পারছেন না। গাড়ি থাকতে সাইকেলে রাতের অন্ধকারে থানায় কেন পুলিশ সুপার? মুখে আসলেও কেউ এই প্রশ্ন করতে পারছেন না। পরনে পুলিশের উর্দিও ছিল না। সূতি থানায় তখন পুলিশকর্মীরা কী করবেন বুঝতে পারছেন না। এভাবেই সারপ্রাইজ ভিজিট করলেন জঙ্গিপুরের পুলিশ সুপার ভিজি সতীশ পশুমার্থী।
ঠিক কী হল থানায়? পুলিশ 🏅সূত্রে খবর, কেমন চলছে থানার কাজ? মানুষ পরিষেবা কি ঠিকঠাক পাচ্ছেন? কর্মীরাই বা কে, কী করছেন? এসবই ছিল পুলিশ সুপারের প্রশ্ন। তবে তাঁকে যথাযথ উত্তর দেওয়া হয়েছে। রাতের অন্ধকারে এমন অমাইক পুলিশ সুপারের সান্নিধ্য পেয়ে সকলেই হতবাক। সাধারণ পোশাকে ৩৫ কিলোমিটার সাইকেল চালিয়ে পুলিশ সুপারের এমন থানা ভিজিট বিরল। আগে কোথায় ঘটেছে তা কেউ মনে করতে পারছেন না। প্রথমে বিষয়টি বুঝতে পারেননি অনেকেই। আর যখন বুঝেছেন তখন চাপে পড়ে গিয়েছেন সবাই। কিন্তু তার জন্য পুলিশ সুপার কাউকে বকাঝকা করেননি। বরং মুচকি হেসে বাহবা দিয়েছেন। রাতে না ঘুমিয়ে কর্তব্যে অবিচল থাকার জন্য।
আর কী জানা যাচ্ছে? স্থানীয় এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতেই তিনি এই সারপ্রাইজ ꦦভিজিট করেন। সন্ধ্যেবেলায় বেরিয়ে ছিলেন পুলিশ সুপার ভিজি সতীশ পশুমার্থী। রাস্তায় সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। তারপর এতটা রাস্তা সাইকেল চালিয়ে আসা—সব মিলিয়ে একটু রাতই হয়েছিল। তবে বেশি রাত নয়। থানার পুলিশ অফিসাররা কতটা কর্মতৎপর তা দেখতেই এই সাইকেলে সফর। আগামী দিনেও এমন একাধিক থানায় তিনি সারপ্রাইজ ভিজিট করবেন বলে জানান। আসলে রাতের এমন সময়ে শুটআউট থেকে বোমাবাজ🙈♋ি হয়ে থাকে। তাই তিনি নিজেই রাতে টহল দিতে বেরিয়ে পড়েন। যদিও তেমন কোনও ঘটনা ঘটেনি।