পানীয় জলের সমস্যা নিয়ে কদিন আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কড়া বার্তা দিয়েছিলেন। জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের কাছ থেকে পাওয়া পরিসংখ্যান প্রকাশ্যে তুলে ধরে ক্ষোভ প্রকাশও করেছিলেন। এবার কড়া পদক্ষেপ করল কারিগরি দফতর। জলজীবন মিশন প্রকল্পে গ্রামের প্রত্যেক বাড়িতে নলবাহিত পানীয় জল পৌঁছে যাওয়ার কথা। কিন্তু সেই পানীয় জল দিয়ে পুকুরের মাছ চাষে থেকে শুরু করে স্নান করানো হচ্ছে গরু–ছাগলকে। ধান চাষের জꦉমিতে এবং মুরগির পোলট্রি, গ্যারাজ থেকে বাড়ি নির্মাণের কাজেও এই জল ব্যবহার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। তাই এমন অভিযোগ এবার সরাসরি রাজ্য সরকারকে জানানো যাবে।
বাংলার মানুষ যাতে সরাসরি রাজ্য সরকারকে এই পানীয় জলের অপচয় নিয়ে তথ্য জানাতে পারেন, অভিযোগ করতে পারেন তার জন্য এবার হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর চালু করল রাজ্য সরকার। বুধবার বিধানসভায় রাজ্যের মন্ত্রী পুলক রায় জানান, পানীয় জলের বেআইনি ব্যবহার নিয়ে ২০ হাজার অভিযোগ এসেছে। এখন পর্যন্ত ৪৬৭টি এফআইআর করা হয়েছে। আর এবার থেকে অভিযোগ জানানোর জন্য দেওয়া হয়েছে দুটি ফোন নম্বর। সেগুলি হল— ৮৯০২০৫২২২২ এবং ৮৯০২০৬৬৬৬৬। পানীয় জলꦓ অপচয় ঠেকাতে আরও তথ্য পাঠানোর আর্জি জানালেন মন্ত্রী। রাজ্যের জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর দু’টি হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর চালু করেছে। এই নম্বরে পানীয় জলের অপব্যবহারের তথ্য রাজ্য সরকারকে জানাতে পারবেন।
আরও পড়ুন: ‘মুসলিমদের বাংলাদেশে পাঠানো হোক’ অসীমের মন্তব্য, ‘ওঁর বাবার দেশ নয়’, পাল্টা ফিরহাদ
এদিন বিধানসভায় মন্ত্রী পুলক রায় তথ্য দিয়ে বলেছেন, পূর্ব মেদিনীপুরে ৬৬টি, পশ্চিম মেদিনীপুরে ৯টি, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ১৫টি, উত্তর ২৪ পরগনায় ৪৬টি, পূর্ব বর্ধমানে ২১টি, পশ্চিম বর্ধমানে ১৪টি, নদিয়াতে ৮৩টি, মুর্শিদাবাদে ৩৪টি, হাওড়ায় ১৪, হুগলিতে ৩১টি, মালদায় ১৭টি, উত্তর দিনাজপুরে ১৩টি, দক্ষিণ দিনাজপুরে ২২টি, আলিপুরদুয়ারে ১৪টি, ঝাড়গ্রামে ১২🐭টি, কোচবিহারে ১০টি, জলপাইগুড়িতে ২টি, দার্জিলিংয়ে ২টি, বীরভূমে ২০টি, বাঁকুড়ায় ৯টি, পুরুলিয়ায় ১৩টি এফআইআর দায়ের হয়েছে। গ্রামবাংলার বাড়িতে নলবাহিত পানীয় জল পৌঁছে দিতে প্রকল্প এনেছে কেন্দ্র। যার ৫০ শতাংশ অর্থ রাজ্য সরকার দেয়। জমি, বিদ্যুতের খরচ, রক্ষণাবেক্ষণ–সহ অন্য খরচও রাজ্য সরক♊ার বহন করে।
এছাড়া গত সোমবার বিধানসভায় জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরকে নিয়ে একটি বৈঠক করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে মুখ্যমন্ত্রীকে বলতে শোনা যায়, ‘যেখানে জলের অপচয় হচ্ছে ডিএম, এসপি, বিডিও, পিডব্লিউডি, এগ্রিকালচার, সেচ দফতরের অফিসাররা পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে সারপ্রাইজ ভিজিট করুন। কেউ সমঝোতা করলে তাঁর আগে চাকরি খাব। পানীয় জলের অপব্যবহার করলে সরকার সেটা সহ্য করবেন না। আইন সবার জন্যই এক।’ আর পুলক রায় বুধবার বলেন, ‘রাজ্যের ১ কোটি ৭৫ লক্ষ গ্রামীণ পরিবারের মধ্যে ৯৪ লক্ষের বেশি জায়গায় নলবাহিত পানীয় জল পৌঁছেছে। 𝓀অনেক জায়গায় এই পানীয় জলের অপব্যবহার করা হচ্ছে। তাই পুলিশে এফআইআর করার প্রক্রিয়া চলবে।’