প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের জট কাটল কলকাতা হাইকোর্টে। ২১—এর বিধানসভা নির্বাচনের আগেই স্বস্তি পেল রাজ্য সরকার। বৃহস্পতিবার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের ওপর সিঙ্গল বেঞ্চের জারি করা স্থগিতাদেশ, প্রত্যাহার করল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতি সৌমেন সেন ও বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছে, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে আগামী দু’সপ্তাহের ম𒐪ধ্যেই প্রাথমিকের মেধাতালিকা প্রকাশ করতে হবে৷ আদালতের আরও নির্দেশ, উল্লেখিত সময়সীমার মধ্যেই সমস্ত ডিআই, ডিপিএসসি ও পর্ষদের দফতরে প্যানেলভুক্ত চাকরিপ্রার্থীদের নামের ত🔯ালিকা টাঙাতে হবে৷
গত ১৬ ফেব্রুয়ারি ১৫ হ𒉰াজার ২১৮ জন প্রার্থীর একটি মেধা তালিকা প্রকাশ করেছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। কিন্তু বেশ কিছু প্রার্থীর অভিয়োগ ছিল, মেধাতালিকায় একাধিক অস্বচ্ছতা ♒রয়েছে। তাছাড়া তাঁদের আরও অভিয়োগ ছিল যে, কোনও মেধাতালিকা প্রকাশ করেনি পর্ষদ। তা না—করেই নিয়োগ প্রক্রিয়া চলছে। এই মর্মে তাঁরা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন।
গত ২২ ফেব্রুয়ারি মামলা চলাকালীন প্রার্থীদের তরফে করা আবেদন শুনে ১৬ হাজার ৫০০ শূন্যপদে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের ওপর স্থগিতাদেশের নির্দেশ দেন বিচারপতি ভরদ্বাজ। সেই মামলায় বিচারপতি ভরদ্বাজ জানিয়েছিলেন, প🍸্রাথমিকে নিয়োগ সংক্রান্ত মামলাগুলির নিষ্পত্তি না—হওয়া পর্যন্ত স্থগিতাদেশ জারি থাকবে৷ফ লে, থমকে যায় ১৬ হাজার ৫০০টি শূন্যপদে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া৷ আতান্তরে পড়ে যান সদ্য চাকরিতে যোগ দেওয়া প্রার্থীরাও৷ সিঙ্গল বেঞ্চের সেই নির্দেশকেই চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বুধবার ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয় পর্ষদ। এদিন সেই স্থগিতাদেশ উঠে যাওয়ায়, কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরল তাঁদের৷