রমজান মাসে ফেসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের ২ মুসলিম নেতার সংঘর্ষে উত্তেজনা ছড়াল রাজারহাটের শিখরপুরে। রাজারহাটের চাঁদপুর অঞ্চলের তৃণমূলের পঞ্চায়েত উপপ্রধান ও অঞ্চল সভাপতির গুন্ডা বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ থামাতে বেগ পেতে হল পুলিশকেও। আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়ার সময় ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়’ ধ্বনি তুললেন তৃণমূল নেতা।
আরও পড়ুন - মুসলিম তোষণ করতে হাইকোর্টেরও পরোয়া করেন না মমতা: শংকর ঘোষ
পড়তে থাকুন - শুভেন্দু কি এবার ভবানীপুরে দাঁড়াবেন? কী বলছেন সুকান্ত! 'মমতাকে হারাব'
জানা গিয়েছে, দিন কয়েক আগে চাঁদপুরের অঞ্চল সভাপতি জব্বার মোল্লার কয়েকজন অনুগামীর ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে তাদের সম্পর্কে আপত্তিকর কথা লেখেন তৃণমূলের পঞ্চায়েত উপপ্রধান আক্রাম আলি মোল্লা। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় স্থানীয় একটি চায়ের দোকানে বসে ছিলেন তিনি। তখন জব্বার মোল্লার অনুগামীরা এসে তাঁকে ব্যাপক মারধর করে। বন্দুকের বাট দিয়ে মারা হয় বলে অভিযোগ। তাতে তৃণমূল নেতা গুরুতর আহত হন।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় রাজারহাট থানার পুলিশ। দুপক্ষের লোকজনকেই আটক করে থানায় নিয়ে যায় তারা। পুলিশের গাড়ি থেকে নামিয়ে থানায় ঢোকানোর সময় নাটকীয় কাণ্ড ঘটান আক্রাম মোল্লা। গাড়ি থেকে নেমেই চাকার সামনে শুয়ে পড়েন তিনি। তারস্বরে ‘বন্দেমাতরম’ বলে চিৎকার শুরু করেন। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকর্মীরা তাঁকে চাকার সামনে থেকে সরানোর চেষ্টা করলে রীতিমধ্যে ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায়। এর পর এরই মধ্যে ‘মমতা ব্যানার্জি জিন্দাবাদ’ স্লোগান দিতে থাকেন তিনি।
আরও পড়ুন - ‘বাবা-মা বাংলাদেশি হলেও আমি ভারতীয়!’ দাবি তৃণমূলের ‘আগুনে’ যুবনেতার
আক্রাম আলি জানিয়েছেন, একটি গাছ কাটার বিষয়ে কথা বলার জন্য রাজারহাট থানার এক পুলিশ আধিকারিকই তাঁকে চায়ের দোকানে ডেকে পাঠিয়েছিলেন। তিনি যেতেই তাঁর ওপর হামলা হয়। ওদিকে জব্বার মোল্লার দাবি, আমার কয়েকজন অনুগামীর নামে ও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি পোস্ট করে আজে বাজে কথা লিখেছিল। কেন ও এই কাজ করল জানতে আমার ছেলেরা ওকে চায়ের দোকানে দেখে দাঁড়ায়। তখন ২ পক্ষের মধ্যে সামান্য হাতাহাতি হয়। এর পর আক্রাম নিজেই নিজের জামা কাপড় ছিঁড়ে মারধরের অভিযোগ তোলে।