তৃণমূল কংগ্রেসের ১৯ জন নেতা–মন্ত্রীর সম্পত্তি বৃদ্ধির মামলা দায়ের হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। সেই মামলায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটকে (ইডি) পক্ষ করার নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। আর সেই নির্দেশকে চ্যাল🍒েঞ্জ করে সꦫুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিলেন এন্টালির তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক স্বর্ণকমল সাহা। আর তার প্রেক্ষিতে আজ, শুক্রবার সেই মামলায় স্থগিতাদেশ দিল দেশের সর্বোচ্চ আদালত। আজ, শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি উদয় উমেশ ললিতের ডিভিশন বেঞ্চ এই স্থগিতাদেশ দিয়েছে।
কাদের নাম ছিল এই মামলায়? তৃণমূল কংগ্রেসের একাধিক নেতা–মন্ত্রীর নাম জড়িয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছিল। এই মামলায় নাম রয়েছে— ফিরহাদ হাকিম, ব্রাত্য বসু, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, মলয় ঘটক, অরূপ রায়, অমিত মিত্র, শিউলি সাহা, সব্যসাচী দত্ত, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, জাভেদ খান এবং শোভন চট্টোপাধ্যায়ের♌। প্রয়াত দুই নেতা সুব্রত মুখোপাধ্যায় এবং সাধন পাণ্ডেরও নাম রয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়কদের হয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলায় সওয়াল করেন আই♛নজীবী কপিল সিব্বল এবং আইনজীবী সুহান মুখোপাধ্যায়।
কেন স্থগিতদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট? এদি🐻ন শুনানির শুরুতে♑ তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষের আইনজীবীরা সওয়াল করেন, কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হওয়া ওই জনস্বার্থ মামলা ভিত্তিহীন। কারণ নেতা–মন্ত্রীদের নাম কোন তথ্যের ভিত্তিতে নেওয়া হয়েছে? প্রশ্ন তোলেন তাঁরা। এমনকী জনমানসে তাঁদের ভাবমূর্তি খারাপ করতেই এই মামলা বলে দাবি করা হয়। নেপথ্যে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা রয়েছে বলেও জোরসওয়াল করা হয়। আর তারপরই শুক্রবার স্থগিতাদেশ দিয়ে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। উল্লেখ্য, কলকাতা হাইকোর্ট এই মামলায♋় ইডিকে যুক্ত করার নির্দেশের পর ফিরহাদ, জ্যোতিপ্রিয় এবং অরূপ রায় পৃথকভাবে পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়েছিলেন। ꧃এমনকী দ্রুত পুনর্বিবেচনা করার আর্জি জানানো হয় কলকাতা হাইকোর্টে।
আ🧸র কী জানা যাচ্ছে? এই সম্পত্তি বৃদ্ধি নিয়ে একাধিক মামলা হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। কোনও মামলায় নাম রয়েছে অমিত শাহ, রাজনাথ সিং, শুভেন্দু অধিকারী, শিশির অধিকারী, দিব্যেন্দু অধিকারী, অগ্নিমিত্রা পালদেরܫ। আবার নাম রয়েছে সিপিআইএমের সূর্যকান্ত মিশ্র, মহম্মদ সেলিম, কংগ্রেসের নেপাল মাহাত, মোহিত সেনগুপ্তদের। তবে সুপ্রিম কোর্ট স্থগিতাদেশ দিলে হাইকোর্ট আরকিছু করতে পারে না।