আজ, তৃণমূল কংগ্রেসের একুশে জুলাই। কাতারে কাতারে মানুষ ভিড় করেছেন শহর কলকাতার ধর্মত🍎লার প্রাণকেন্দ্রে। আর এই হাইভোল্টেজ সমাবেশে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে ব্যাপক সাফল্য পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। সেই সাফল্য দেখা গিয়েছে উত্তরবঙ্গেও। বিজেপির গড়ে এবারই প্রথম ফুটেছে ঘাসফুল। যাঁর হাত ধরে উত্তরবঙ্গের কোচবিহার এসেছে তৃণমূল কংগ্রেসের ঝুলিতে, তিনি ভূমিপুত্র সাংসদ জগদীশ বর্মা বসুনিয়া। তিনি পরাজিত করেছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিককে। আর আজ, রবিবার একুশে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে জগদীশ বর্মা বসুনিয়া বড় ডাক দিলেন।
এবার একুশে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকেই জগদীশ বর্মা বসুনিয়া ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গ দখলের ডাক দিলেন। অর্থাৎ উত্তরবঙ্গে প্রত্যেক বিধানসভা জেতার ডাক দিলেন। কোচবিহারের সাংসদ বলেন, ‘আমার এখন অনেক বেশি দায়িত্ব। আপনারা ভোট দিয়ে ꧒আমাকে জিতিয়েছেন। উত্তরবঙ্গ থেকে যাঁরা জিতে আছেন তাঁ🔯রা তো কোনও কাজই করছেন না। কাজ যা করার করছেন আমাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই আমার আবেদন, ২০২৬ সালের যে বিধানসভা নির্বাচন আসছে, তাতে তৃণমূল কংগ্রেসকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করুন। উত্তরবঙ্গের সর্বত্র যতদিন না ঘাসফুল ফোটাতে পারব, ততদিন আমার লড়াই চলবে।’
উত্তরবঙ্গে এবার কোচবিহার ছাড়া কোনও লোকসভা আসন তৃণমূল কংগ্রেসে আসেনি। তাই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের খেদ রয়েছে। তবে রায়গঞ্জ বিধানসভা আসনটি উপনির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসে এসেছ🔯ে। তাই আজকের মঞ্চ থেকে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘কোচবিহার যাঁরা জিতিয়েছেন তাঁদের আমি ধন্যবাদ জানাই। কিন্তু দুঃখের বিষয় মালদার দুটি আসন আপনারা আমাদের দেননি। একটা বিজেপিকে ও আর একটি কংগ্রেসকে দিয়েছেন। ওরা কি কোনও কাজ কোনওদিন করেছে মানুষের জন্য? তবে আমি আপনাদের ভুল বুঝিনি। আমাদের দুর্ভাগ্য বলে মনে করছি। তবে রায়গঞ্জ আমরা পেয়েছি। সেখানে মানুষজনকে ধন্যবাদ জানাই।’ ২০২৬ সালের টার্গেট উত্তরবঙ্গের বিধানসভা আসনগুলি দখল।
আরও পড়ুন: একুশে জুলাইয়ের সভায় আমন্ত্রণ পেয়েছেন ছত্ꦡরধর মাহাতো, মঞ্চে দেখা যাবে কি?
উত্তরবঙ্গের মাটিতে আরও কাজ করা হবে জানান সাংসদ জগদীশ বর্মা বসুনিয়া। সেই কাজ চলছে, চলবে বলেও তাঁর দাবি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্ꦗযোপাধ্যায় সেখানে বহু কাজ করেছেন। সেখানের আসন না পেলেও কাজ চলবে। এটাই বিজেপির সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের পার্থক্য বলে জানান সাংসদ। জগদীশ বর্মা বসুনিয়ার কথায়, ‘উত্তরবঙ্গের সর্বত্র যতদিন না ঘাসফুল ফোটাতে পারব, ততদিন আমার লড়াই চলবে। পাহাড় থেকে সমতল সব জায়গায় জেতাতে হবে তৃণমূল কংগ্রেসকে। সেটা করতে না পারা পর্যন্ত আমি লড়াই চালিয়ে যাব।’