কেন্দ্রীয় বাজেটে পর্যটন শিল্পকে উন্নতি ঘটানোর কথা বলা হয়েছে। সেখানে ‘মুদ্রা ঋণ’ থেকে শুরু করে ‘স্বাস্থ্য পর্যটন’, ‘ধর্মীয় পর্যটജন’, ‘উড়ান প্রকল্প’–সহ নানা কথা বলেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। কিন্তু বাংলার উত্তর এবং দক্ষিণের নানা পꦗ্রান্তে জনপ্রিয় ‘হোম স্টে’ ব্যবস্থা রয়েছে। কিন্তু কেমন করে তার উন্নতি ঘটানো হবে এবং ‘মুদ্রা ঋণ’ প্রকল্পের সুযোগ কেমন করে মিলবে? এইসব প্রশ্ন নিয়ে অনেকে ধন্দে পড়েছেন। কারণ বাজেটে মুদ্রা ঋণের শর্ত স্পষ্ট করা হয়নি। বরং রাজ্যগুলির সঙ্গে অংশীদারি ব্যবস্থায় দেশের ৫০টি পর্যটনকেন্দ্রের পরিকাঠামো উন্নতির কথা বলা হয়েছে। আর প্রকল্পের খসড়া তৈরিতে রাজ্যের কোনও পর্যটন কেন্দ্র ছিল না বলে সূত্রের খবর।
‘হোম স্টে’ উন্নতির বা আধুনিক মানের করার জন্য যে ‘মুদ্রা ঋণ’ উল্লেখ করা হয়েছে বাজেটে তাতে ‘হোম ট্যুরিজম’ বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করেন ‘ঝাড়গ্রাম ডিস্ট্রিক্ট হোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন’–⭕এর সম্পাদক শিবাশিস চট্টোপাধ্যায়। যদিও মুদ্রা ঋꦆণের শর্ত না জেনে গোটা বিষয়টি স্পষ্ট হবে না বলে মনে করছেন ‘হিমালয়ান হসপিটালিটি অ্যান্ড ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্ক’–এর সাধারণ সম্পাদক সম্রাট সান্যাল। ঋণ মেলার পদ্ধতির সরল করা দরকার বলেও বহু পর্যটন ব্যবসায়ী মনে করেন। বাজেটে বলা হয়েছে, মুদ্রা ঋণ নিয়ে হোম স্টে–কে আন্তর্জাতিক মানের করতে চাইলে তা পারবেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
আরও পড়ুন: এবারের বাজেটে ধাক্কা খেল সড়ক যোগাযোগ মন্ত্রক, ১০ বছরে সবচেয়ে কম বরাদ্দ বৃদ্ধি
এই গোটা বিষয়টি কতটা সরলের সঙ্গে হবে, কেমন করে তা মিলবে—এগুলি নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। পর্যটন ব্যবসায়ীরা মনে করেন, স্বাস্থ্য পর্যটনে সহজে ভিসার যে কথা বলা হয়েছে সেটা তো আগেও ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু সেটা বাস্তবে কতটা কার্যকরী হবে তা নিয়েও ধন্দ রয়েছে। মুর্শিদাবাদের নবগ্রামের কিরীটেশ্বরী ‘দেশের সেরা পর্যটন গ্রাম’ বলে ২০২৩ সালে কেন্দ্রীয় সরকার ঘোষণা করেছিল। এই মন্দির কমিটির সম্পাদক পঙ্কজ দাস বাজেট নিয়ে বলেন, ‘গত দেড় 🐲বছরে কেন্দ্রের কোনও আর্থিক সাহায্য আমাদের মেলেনি। সাংসদ তহবিলের টাকায় মন্দির প্রাঙ্গণে যাত্রিনিবাস তৈরি হয়েছে মাত্র।’
সব মিলিয়ে দেখা যাচ্ছে বাজেটে বলা প্রস্তাবের সঙ্গে বাস্তবের বিস্তর ফারাক রয়েছে। পশ্চিম মেদিনীপুরের মোগলমারিতে বৌদ্ধ মন্দির রয়েছে। দাঁতনের ওই বৌদ্ধ মহাবিহার রাজ্য প্রত্নতত্ত্ব দফতরের অধীন। কেন্দ্রীয় বাজেট শোনার পর ‘মোগলমারি বুদ্ধিস্ট অ্যাসোসিয়েশন’–এর সাধারণ সম্পাদক অতনু প্রধানের বক্তব্য, ‘এই মহাবিহার যদি জাতীয় সৌধের মর্যাদা পায় সেক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় বাজেটের ঘোষণা কার্যকর হবে। এই মুহূর্তে তেমন সম্ভাবনা আমাদের চোখে পড়ছে না।’ যদিও এতকিছুর পর গঙ্গাসাগর মেলাকে বাজেটে ‘জাতীয় মেলা’ ঘোষণা করা হয়নি। তাই সরব হয়েছেন মথুরাপুরের তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ বাপি হালদার। তাঁর কথায়, ‘বাংলা এবারও বঞ্চিত হল।’