উত্তরবঙ্গ সফরে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। বাংলার মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। ২০২৬ এর ভোটের আগে উত্তরবঙ্গে এসে একের পর এক উন্নয়ন প্রকল্প꧃ের কথা উল্লেখ করেন তিনি।
শিলিগুড়ির ডাবগ্রামে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মমতা বলেন, আগে মানুষ তৈরি করা দরকার। ডিগ্রি হলেই সব হয় না। ডিগ্রি তখনই কার্যকরী হয় যখন ডিগ্রিটা মানুষের সামাজিক কাজে, শিক্ষার কাজে, মানুষকে ভালো রাখার কাজে, পরিবেশের কাজে, মানবিকতার কাজে, মনুষ্যত্বের কাজে সেটা ব্যবহৃত হয়। আমি তাদের স্যালুট জানাই যাদের মেধা আছে। এই মেধা নিয়ে সমাজকে মানুষকে ভালোবাসেন। মনে রাখবেন অল্প শিক্ষাও কিছু খারাপ নয়। যে হয়তো শিখতে পারেনি, আগে হয়তো শিখতে পারেনি, শেখার কখনও কোনও বয়স হয় না। সারাজীবন শিখে যেতে পারে। যারা ফিল্ডে কাজ করে, কী করে আলু তৈরি হয় তার থেকেও বেশি শিখবেন যদি আপনি আলুটা নিজে চাষ করেন, নিজে বীজটা পোঁতেন। নিজে দেখেন, কোন সাবজেক্টের আলু, কোন বীজ দরকার, কীভাবে আলুটা তৈরি হবে আলুটা পচে যাওয়ার কীভাবে কেটে নিতে হবে, বর্ষার আগে আলুকে সরিয়ে দিতে হবে। আলুই বলুন, শাক স🦄বজিই বলুন, লঙ্কাই বলুন আর উচ্ছেই বলুন, স্কোয়াশই বলুন, যারা ফিল্ডে কাজ করেন তাঁদের ভূমিকা অনেক বেশি।
মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়, বাংলার মুখ্য়মন্ত্রী বলেন, চোখ দিয়ে তাকিয়ে দেখুন, কান দিয়ে শুনুন আর হৃদয় দিয়ে উপলব্ধি করুন, আমি যখন রাস্তা দিয়ে যাই আমি আজ পর্যন্ত এখনও হয়নি কোনওদিন গাড়িতে ঘুমিয়ে পড়েছি, আমি রাস্তায় একটা লোক থাকলেও চেষ্টা করি নমস্কার করবার, সে আমার বিরুদ্ধে হতে পারে, সে আমার পক্ষে হতে পারে, আমাকে গালি দিতে পারে, আমাকে স্বীকার নাও করতে পারে, তাতে আমার কিছু যায় আসে না। অনেক গালাগালি সারাজীবন খেয়েছি। আমি এসবে বিশ্বাস করি না। গালাগালি দেওয়ার অধিকার ওদের আছে দিক। সহ্য করার অধিকার আমার আছে আমি সহ্য করব। তবে আপনাদের একথা আমি বলব আমি যখন রাস্তা দিয়ে যাই। দোকানটা দেখি। এলাকা দিয়ে যখন যাই কোনও লাইট খারাপ আছে কি না সেটা দেখি। যখন কোনও রাস্তা দিয়ে যাই মানু🐲ষের মুখ দেখে বুঝতে পারি কোন মানুষ দুঃখে আছে, কোন মানুষটা সুখে আছে। মা বোনেদের হাসি আমাকে পল্লবিত করে, আমাকে বিকশিত করে, উৎসাহিত করে, আমি তাদের জন্য গর্ব বোধ করি। বলেন মমতা।